মোফাজ্জল হোসাইন; নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীরা । প্রায় ৩ হাজার শিক্ষক টাইম-স্কেল থেকে বঞ্চিত। সিনিয়র শিক্ষক পদায়নে জটিলতা, পদোন্নতি তে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি ইত্যাদি। আর এই সমস্ত জটিলতার পেছনে অবশ্যই কোন কারণ রয়েছে।

আমার মতে, এর মুল কারন হচ্ছে -মাধ্যমিকের বিভিন্ন কাজের জন্য প্রায়ই কয়েকজন শিক্ষক কে মাউশি ডেকে নেয়। মুলত কাজগুলো মাউশি`র। যে সমস্ত শিক্ষক দের ডেকে নেয়া হয় তারাই একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেন, তার সাথে জড়িত মাউশি`র কিছু কর্মকর্তা। কাউকে অধিক সুবিধা দেয়া, কাউকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, নিজেরাই নিজেদের তথ্য গোপন করে নানা ভাবে সুযোগ নেয়া এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অন্যকেও সে সুযোগ দেয়া সিন্ডিকেট এর মুল কাজ এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে সমস্যা সৃষ্টি করা। কয়েকজন শিক্ষক যেহেতু মাউশি`তে কাজ করেন তারা নিজেদেরকে অনেক ক্ষমতাবান বলে প্রচার করেন এবং তাদের ক্ষমতার প্রমাণও দেখান। তাদের অনেক অপকর্মের উদাহরণ সবার জানা।

তাই মাধ্যমিক শিক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে মাউশি মহাপরিচালক মহোদয়ের নিকট সবিনয় অনুরোধ – অফিসের কাজ অফিসের কর্মকর্তা দিয়েই করানো উচিৎ। বাহিরের কাউকে দিয়ে করানো হলে একদিকে অফিসের গোপনীয়তা থাকে না অন্যদিকে সিন্ডিকেট তৈরির মাধ্যমে কোন অপকর্ম হওয়ার সুযোগ থাকবে না। যতদিন মাধ্যমিকের এই সিন্ডিকেট থাকবে ততোদিন মাধ্যমিকের সমস্যা আরও বাড়বে। মাধ্যমিক সিন্ডিকেট ও দূর্নীতি মুক্ত হোক- এটা আজ সবারই চাওয়া।

আমাদের বাণী ডট কম/২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০/এইচভিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।