জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তাখাতে দরিদ্র মায়েদের জন্য ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা’ ভোগীর সংখ্যা ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ৭ লাখ ৭০ হাজার জনে উন্নীত করায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ডরপ।

আজ (সোমবার) যৌথ এক বিবৃতিতে ডরপ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী এএইচএম নোমান, মা স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক, একুশে পদক প্রাপ্ত মাজেদা শওকত আলী এবং গল্প-কবিতার বৃহস্পতির আড্ডার আহ্বায়ক কবি ও লেখক রোকেয়া ইসলাম বলেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের গৃহীত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আওতাধীন ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা’ একটি অনন্য ও বাস্তবসম্মত কর্মসূচী। মাতৃত্বকালীন ভাতার গুণগত মান ধরে রাখতে তথ্যভাণ্ডার সৃষ্টিসহ সংখ্যা না বাড়িয়ে মেয়াদকাল ৩ বছরের স্থলে শিশুর স্কুল ভর্তি পর্যন্ত ৫ বছর করা ও ভাতার পরিমাণ ৮শ টাকার স্থলে ন্যূনতম গার্মেন্টস শ্রম মজুরি ৮ হাজার টাকা প্রদানের দাবি করছি।’

তারা আরও বলেন, ‘দারিদ্র্যের উৎস বন্ধের দিকে নজর না দিলে দারিদ্র্য বিমোচন হবে না। দারিদ্র্য বিমোচন তথা- উন্নয়ন তলরেখা হলো মা। মা হলো এসডিজি’র একের ভেতর সতের। ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ সাম্যতা ও ন্যায্যতার শোষণহীন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রতিফলন। স্বপ্ন প্যাকেজ কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রয়োজন শুধু ‘এক মা এক লাখ টাকা’ বাজেট বরাদ্দ।

ডরপ সরকারের বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ ও সুখী সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা’ ও ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কর্মসূচীর জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দের অংশীদারীত্বসহ অ্যাডভোকেসি করে আসছে। দারিদ্র্য বিমোচনে ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ মডেল শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বেও একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হবে বলে আশাবাদ জানিয়েছে সংস্থাটি।

ডরপের মিডিয়া ম্যানেজার আ হ ম ফয়সল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।