মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের মে মাসের বেতন ও পবিত্র ঈদুল ফিতরের বোনাসের চেক দেরিতে ছাড় করায় মাদরাসা অধিদপ্তরের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতারা। সাধারণ স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের বেতন ও বোনাসের চেক গত সপ্তাহে ছাড় হয়েছে এবং তারা অনেকেই ঈদের আগেই বেতন-বোনাস তুলতে পারবেন। কিন্তু মাদরাসা শিক্ষকরা তা পারবেন না, কারণ ্আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বাদে ঈদের আগে আর ্মাত্র একটি দিন ব্যাংক খোলা।

বুধবার (২৯ মে) সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজীর পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্ষোভ জানানো হয়।

শাব্বির আহমদ মোমতাজী বুধবার সোয়া তিনটায় টৈলিফোনে দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিবের সাথে আমি সাক্ষাৎ করেছি। সচিব স্যার আমাকে বলেছেন, মাদরাসা অধিদপ্তর থেকে দেরিতে বিল পাঠানোয় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দেরির দায় মন্ত্রণালয়ের নয়।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ঈদের আগে মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের মে মাসের বেতন ও বোনাস প্রদান না করায় তাঁরা এবার ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন। একই দেশের বসবাস করে, একই সরকারের অধীনে থেকে কেউ উল্লাসের মধ্যে ঈদ উপভোগ করবে, আবার কেউ অশ্রুসিক্ত থাকবে তা হতে পারে না। সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করতে যাদের চক্রান্তে বা অলসতায় কাঙ্ক্ষিত সময়ে মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-বোনাস থেকে বঞ্চিত হলেন তা ক্ষতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। এছাড়া বিবৃতিতে, ঈদের মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন-বোনাস না পাওয়ার বিষয়ে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন সংগঠনটির নেতারা।

বিবৃতি নেতারা আরও বলেন, ‘মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষকদের বেতন ভাতা প্রদানে প্রায়ই এমন দেরী হয়। ভবিষ্যতে যাতে মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের এমন দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ও শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করছি।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।