মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম , ঢাকা

ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম – বাংলাদেশের ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি উপমহাদেশের সেরা মাঠগুলোর একটি। এই মাঠের মূল বৈশিষ্ট্য হল এর আধুনিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। মুলতঃ ফুটবল এবং এথলেটিকসের জন্য ২০০৬ সালে তৈরি করা হয়েছে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামটি ।

  • দেশ: বাংলাদেশ
  • শহর:  ঢাকা
  • ভেন্যু: শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম
  • স্থাপিত: ২০০৬ সালে ।
  • ধারণ ক্ষমতা: ২৬,০০০ সিট ।

শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম – ঢাকা

শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত। স্টেডিয়ামটি মিরপুরের ৬ নং সেক্টরে অবস্থিত। এটি বর্তমানে শুধুমাত্র ক্রিকেট মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২৬,০০০ দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামটি স্থাপিত হয় ২০০৬ সালে। 

শুরুতে এটি মিরপুর স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্টেডিয়ামটির নাম পরিবর্তন করে বর্তমান নাম শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম রাখে। 

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামকে ‘হোম অব ক্রিকেট’ হিসেবেই চেনে এ প্রজন্ম। ‘এ প্রজন্ম’ বলতে যাদের জন্ম ২০০০ সালের পর। তবে মূল নাম জাতীয় স্টেডিয়াম অথবা মিরপুর স্টেডিয়াম। 

শেরে বাংলা স্টেডিয়াম

জাতীয় নেতা শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নামটি এ স্টেডিয়ামের সঙ্গে ‘ট্যাগ’ হওয়াটা যেমন বেশি দিন আগের ঘটনা নয়, ‘হোম অব ক্রিকেট’ নামটিও কিন্তু খুব বেশি দিন আগে যোগ হয়নি স্টেডিয়ামটির পরিচয়ের সঙ্গে।

২০০৫ সালের আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবল ও ক্রিকেট ভাগাভাগি করে খেলা হলেও মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম ছিল পুরোই ফুটবলের দখলে। ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর ক্রিকেটের পক্ষে আর পিঠা ভাগের মতো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ভাগাভাগি করে খেলা সম্ভব হয়ে উঠছিল না।

সে কারণেই মিরপুর স্টেডিয়ামকে পুরোপুরি ক্রিকেটকে দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবটা আসে। ২০০৫ সালের ১ মার্চ থেকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম হয়ে যায় পুরোপুরি ক্রিকেটের। আজকের বিসিবি কার্যালয়, ক্রিকেট একাডেমি, এর মাঠসহ অন্যান্য সব স্থাপনা ২০০৫ সালের পরই গড়ে ওঠে।

২০০৬ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিজস্ব মাঠ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে করা হয়। এটি বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট, টেস্ট, এক-দিনের, টি টুয়েন্টি এবং বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের নিজস্ব মাঠ এটি ।

উইকেট থেকে বাউন্ডারি পর্যন্ত ঢাল চমৎকার। ২০০৯ সালে ফ্লাডলাইট লাগানোর পর থেকে শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রি ক্রিকেট ম্যাচ খেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে ।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম

২৫শে মে ২০০৭, এই মাঠে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়। যা ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাথে ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের। এই মাঠে প্রথম এক-দিনের ম্যাচ খেলা হয় ১৮-ই ডিসেম্বর ২০০৫ বাংলাদেশ বনাম স্কটল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে।

বাংলাদেশ বনাম ভারত মিরপুর স্টেডিয়াম

ক্রিকেট বিশ্বকাপ স্টেডিয়াম- বাংলাদেশ

১৯শে ফেব্রুয়ারি থেকে ২রা এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং ভারত – এই তিন দেশে যৌথভাবে আয়োজিত ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে এই স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ ৪টি এবং কোয়ার্টার ফাইনালের ২টি ম্যাচ খেলা হয়।

বাংলাদেশ ২০১২ এশিয়া কাপ আয়োজন করে। যার একমাত্র ভেন্যু ছিল শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা। ১৯৮৮ এবং ২০০০ সালে বাংলাদেশ এই কাপ আয়োজন করে। ১১ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত এই টুর্নামেন্ট চলে। 

মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম বাংলাদেশ

ফাইনাল পাকিস্তান ফাইনালে বাংলাদেশ দলকে ২ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। এশিয়া কাপ মূলত এশিয়ার চারটি টেস্টখেলুড়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। সেই চারটি দেশ হল: বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্ট আয়জনের পাশাপাশি অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে প্রথমবারের মত ভারত এবং শ্রীলঙ্কাকে গ্রুপ পর্বে হারিয়ে ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ টাইগার দল । কিন্তু ফাইনালে অল্পের জন্য (২ রানে) হেরে যায় পাকিস্তানের কাছে ।

মিরপুর স্টেডিয়াম কোথায় অবস্থিত?

স্টেডিয়ামটি মিরপুরের ৬ নং সেক্টরে অবস্থিত। শুরুতে এটি ফুটবল মাঠ হিসেবে পরিচিত থাকলেও বর্তমানে শুধুমাত্র ক্রিকেট মাঠ হিসেবে ব্যবাহার করা হয় ।

মিরপুর স্টেডিয়ামের আয়তন কত?

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম – ঢাকা  তৈরি হয়েছে ১৭ একর জমিতে।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম কয়টি?

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম এর সংখ্যা মোট ৮ টি ।

মিরপুর স্টেডিয়াম টিকেট কত?

ভিআইপি স্ট্যান্ডের টিকেটের মূল্য ৩০০ টাকা। ক্লাব হাউজের টিকেটের মূল্য ২০০ টাকা। সাউদার্ন এবং নর্দার্ন স্ট্যান্ডের টিকেটের মূল্য ৮০ টাকা। আর ইস্টার্ন স্ট্যান্ডের টিকেটের মূল্য ৫০ টাকা।