টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রায় দেড় বছর ধরে চিকিৎসক আসেন না। এতে ওই এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠি সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি থেকে রোগীরা প্রয়োজনীয় ওষুধও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, ওই এলাকার দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৬০ সালে ফতেপুর বাজারে চ্যারিটেবল ডিসপেনসারি নামে একটি চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এই চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে ওই এলাকার মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ পান। স্বাধীনতার পর স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে সরকার ফতেপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়।

নিয়মানুযায়ী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেটিতে একজন এমবিবিএস ডাক্তার, একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট এবং একজন এমএলএসএস কর্মরত থাকার কথা। কিন্তু স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে নিয়োগপ্রাপ্ত এমবিবিএস ডাক্তার শামীমা হোসেন প্রায় দেড় বছর ধরে কর্মস্থলে যান না। এমএলএসএস পদটিও শুন্য আছে দীর্ঘদিন ধরে।

ডাক্তার না থাকায় এলাকার মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সুভাষ চন্দ্র তন্ত্রী ও ফার্মাসিস্ট আব্দুল কাদের। ফার্মাসিস্ট আব্দুল কাদেরকেও মাঝে মধ্যে ডেপুটেশনে নেওয়া হয় বলে এলাকার লোকজন জানান।

দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তার না থাকায় জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা না নিয়ে ফিরে যেতে হয়। এতে এলাকার মানুষ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

ফতেপুর বাজারের ব্যবসায়ী ইব্রাহীম সিকদার বলেন, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে ডাক্তার না থাকায় এলাকার দরিদ্র মানুষকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে বেশি টাকা খরচ করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. জয়নাল মিয়া বলেন, ফতেপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির এখন করুণ দশা। কারণ এখানে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে এমবিবিএস ডাক্তার আসেন না। যারা কর্মরত আছেন তাদেরও মাঝেমধ্যে অন্যত্র কাজ করানো হয়। এতে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা এবং ওষুধ থেকে এলাকার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীম আহমেদ বলেন, ‘আমি যোগদানের অনেক আগে সিভিল সার্জনের নির্দেশে ফতেপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত ডাক্তার শামীমা হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেষণে আনা হয়েছিল। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও তিনি নিয়মিত আসেন না বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।