ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা;  আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের অবস্থা অত্যন্ত সংঙ্কটাপন্ন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। তার জ্ঞান এখনো ফেরেনি। ৭২ ঘণ্টা পার হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

  • আজ শনিবার (০৬ জুন ২০২০) বিষয়টি জানিয়েছেন মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য তানভির শাকিল জয়। এর আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে গতকাল শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে মোহাম্মদ নাসিমের অস্ত্রোপচার করা হয়।

তানভির শাকিল জয় জানান, তার বাবা মোহাম্মদ নাসিমের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটাপন্ন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। ৭২ ঘণ্টা পার হলে চিকিৎসকরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।

  • রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে গত ১ জুন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। ওইদিনই তার করেনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করতে হয়। এ অস্ত্রোপচার সফল হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎকরা।

মোহাম্মদ নাসিম আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্রও তিনি। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। এর আগে ১৯৯৬–২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় একাধিক মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী,  দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩০ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ৭১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৮২৮জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল৬০ হাজার ৩৯১ জনে। ৫০টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৬৪৫টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৮৮টি। আক্রান্তের হার ২০.০৭ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৪৩ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১২ হাজার ৮০৪ জন। সুস্থতার হার ২১.২০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৩৪ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ২৩ জন ও নারী সাতজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১২ জন, সিলেট বিভাগের তিনজন, রাজশাহী বিভাগের দুইজন, বরিশাল বিভাগের একজন ও রংপুর বিভাগের একজন। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১-৫০ সাতজন, ৫১-৬০ ১১ জন, ৬১-৭০ ছয়জন, ৭১-৮০ দুইজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ১৭ জন এবং বাড়িতে ১৩ জন।

আমাদের বাণী ডট কম/০৬ জুন ২০২০/সিসিপি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।