টাঙ্গাইল সংবাদদাতা; জেলার  নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদের পাইকশা মাইঝাইল এলাকায় গত কয়েকদিনে যমুনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে পাইকশা মাইঝাইল বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি, ফসলি জমি যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

  • গত শনিবার রাতে যমুনার পেটে চলে গেছে নবনির্মিত পাইকশা মাইঝাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙন রোধে এখন পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড বা স্থানীয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এলাকার মানুষ শঙ্কিত যদি ভাঙন রোধে দ্রুত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয় তাহলে পার্শ্ববর্তী চৌহালী উপজেলার মত নাগরপুর উপজেলাও এক সময় যমুনা নদীর করাল গ্রাসে বিলীন হয়ে যাবে।

এদিকে নদী ভাঙনে গৃহহারা এলাকার লোকজন গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে জীবনযাপন করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় অবিরাম ভাঙনে হতাশায় রয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। এরই মধ্যে এলাকার লোকজন ভাঙন আতঙ্কে তাদের সহায় সম্বল নিয়ে অন্যত্র সরে যাচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা সরঞ্জাম অন্যত্র সরিয়ে নিলেও বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

  • জানা যায়, গত বছর ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার শাহজানী, আটাপাড়া, মারমা, সলিমাবাদ, পাইকশা, দপ্তিয়রসহ কয়েকটি গ্রামে ভাঙন দেখা দেয়। ওইসব এলাকার ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

পাইকশা মাইঝাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আতিকুর রহমান বলেন, গত বছর বন্যায় এ এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। সে সময় যদি ভাঙন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হত তাহলে আজ আমাদের বিদ্যালয়টি যমুনায় বিলীন হয়ে যেত না।

  • খাসঘুণীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও নাগরপুর সরকারি কলেজের সাবেক জিএস শফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনের প্রবল ভাঙনে এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, কমিউনিটি ক্লিনিক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ তিন শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে জানান, ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই ভাঙন রোধে তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

  • এছাড়া যারা ভাঙনে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন তাদের পার্শ্ববর্তী আশ্রয় শিবিরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু করোনার প্রভাবে স্কুল বন্ধ তাই ভেঙে যাওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য অস্থায়ী বিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে।

আমাদের বাণী ডট কম/১৬ জুন ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।