ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা;  জাতীয় সংসদ ৯০. যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের উপনির্বাচন আগামী ১৪ জুলাই। এনির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে কেশবপুরের বিভিন্ন হাট বাজারে পথ সভাসহ ব্যাপক গনসংযোগ করে চললেও মাঠে নেই প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি। ফলে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত। ইতোমধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

  • জানা গেছ, কেশবপুর উপজেলা নিয়ে জাতীয় সংসদীয় আসন ৯০, যশোর-৬ আসনটি গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৩ হাজার ১৮ জন। এরমধ্যে এক লাখ দুই হাজার একশ ২২জন পুরুষ ভোটার আর নারী ভোটার হলো এক লাখ ৮শ’ ৯৬ জন। ২০২০ সালের ২১জানুয়ারী এমপি ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য হয়। এরপর নির্বাচন কমিশন ২৯ মার্চ ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করে গত ১৬ ফেব্রুয়ারী তফসিল ঘোষণা করে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র জমাদেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব আবুল হোসেন আজাদ ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান। করোনা ভাইরাসের কারণে নির্বাচন কমিশন ২১ মার্চ এ উপনির্বাচন স্থগিত ঘোষনা করেন ।এরপর গত ৪ জুলাই নির্বাচন কমিশন স্বাস্থ্য বিধি মেনে আগামি ১৪ জুলাই এ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষনা দিলে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে কেশবপুরের বিভিন্ন হাট বাজারে পথ সভাসহ ব্যাপক গনসংযোগ করে চলেছেন।

  • এসব পথসভায় আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শাহীন চাকলাদার, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমিন, সহসভাপতি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফাসহ জেলা, উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী বক্তব্য রাখছেন । দিচ্ছেন নানা প্রতিসূতি। এদিকে গত ৫ জুলাই বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি এবং দেশের বন্যার প্রাদুর্ভাব বিবেচনা করে নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ফলে নির্বাচনী মাঠে বিএনপির নেতাকর্মীদের কোন তৎপরতা নেই। এদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী থাকলেও নেতাকর্মীদের তৎপরতা নেই বললেও চলে। ফলে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর বিজয় এক প্রকার নিশ্চিত বলে ভোটাররা জানান।

এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শাহীন চাকলাদার বলেন, দলের দুঃসময়ে জীবন বাজি রেখে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। নানা গ্রুপে বিভক্ত কেশবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্ধ করেছি। দলের প্রতি শ্রম, ত্যাগের মূল্যাাায়ন হিসাবে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার হাতে নৌকা তুলে নিয়েছেন। ১৪ জুলাই ভোটাররা নৌকাকে বিপুল ভোটে বিজয়ীী করবে। বিজয়ী হলে কেশবপুরকে আধুনিক, উন্নত বাসযোগ্য এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তিনি আরও বলেন, করোনার দুঃসময়ে বিএনপি জনগণের পাশে ছিল না।

  • জনগন তাদের মেনে নেবে না বুঝতে পেরে বিএনপি পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে । শাহীন চাকলাদার নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান জানান, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তিনিও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব আবুল হোসেন আজাদ বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে জনমনে ভীতি কাজ করছে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে মানুষকে মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে রেখে এ নির্বাচন কখনো মেনে নেয়া যায় না। মানুষের জন্য সংবিধান। জীবনের চেয়ে সংবিধান কখনো বড় হতে পারেনা।

এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ নিরপেক্ষ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা ১৪ জুলাই কেশবপুরে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান সাংবাদিকদের জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কেশবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জন্য ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা হয়েছে।

আমাদের বাণী ডট কম/১৩ জুলাই  ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।