দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় আওয়ামী লীগ থেকে রাজবাড়ীসহ সারাদেশের দুই শতাধিক নেতা বহিষ্কার হতে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বহিষ্কার প্রক্রিয়া। দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর পরবর্তী সভায় তাদের সাময়িক বহিষ্কার ও কারণ দর্শানোর দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে।

জানা গেছে, সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় সিদ্ধান্তের পর বহিষ্কৃতদের কয়েক ধাপে চিঠি দেয়া হবে। একই সঙ্গে কেন তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেয়া হবে।

এর আগে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে (গণভবন) দলটির উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় ওইসব নেতাদের সাময়িক বহিষ্কার ও শোকজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে গেল নির্বাচনীয় প্রার্থী হয়েছিলেন এবং ওইসব প্রার্থীদের সহায়তা করেছিলেন এমন নেতাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় ৪১, রাজশাহীতে ২০, সিলেটে ৩২, রংপুরে ২৬, বরিশালে ১৭, ময়মনসিংহে ২০, ঢাকায় ৪৫ জনের বেশি এবং চট্টগ্রামে ১৭ জনের বেশি।

বহিষ্কারাদেশের তালিকায় ( চূড়ান্ত ২০০ তালিকার ১৬১ নং থেকে ১৬৫ নাম্বার পর্যন্ত) রয়েছেন রাজবাড়ীর দুই উপজেলা চেয়ারম্যানসহ  আওয়ামীলীগের পাঁচ শীর্ষ প্রভাবশালী নেতা।

এরা হলেন;

১। রাজবাড়ী সদরে জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এসএম নওয়াব আলী।

২।  পাংশায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম শফিকুল মোর্শেদ আরুজ।

৩।  উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পাংশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান  ফরিদ হাসান ওদুদ।

৪।. বালিয়াকান্দিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।

৫। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হাকিম সাধন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।