এম খায়রুল ইসলাম পলাশ, রাজাপুর(ঝালকাঠি)সংবাদদাতাঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে ৭ম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। উপজলোর পাকাপুল এলাকার বড় গালুয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রী (ভিকটিম) এর বড় বোন মোসা:শিরিন আক্তার বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় জামাল হোসেন হাওলাদার(৪০)এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন যার নং -১০।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী (ভিকটিম) পাকাপুল বড় গালুয়া এলাকার মো:বারেক হাওলাদারের মেয়ে। অভিযুক্ত জামাল হোসেন হাওলাদার একই বাড়ীর মৃত হোসেন হাওলাদারের পুত্র।

মামলা সুত্রে জানাযায়,গত ৩১ মে দুপুর আনুমানিক ১.৩০ ঘটিকার সময় স্কুলছাত্রী(ভিকটিম)পাশ্ববর্তী বেল্লাল এর পুকুরে একাকি গোসল করিতে যায়। গোসল শষে সে কাপর চোপর পরিবর্তন করার জন্য পুকুরের পাড়ে পাকা বাথরুমে প্রবেশ করে।সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা জামাল হোসেন হাওলাদার সুযোগ বুঝে বাথরুমের ভিতরে প্রবেশ করে ঐ স্কুল ছাত্রীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড় পূর্বক ধর্ষন করে।লোক লজ্জার ভয়ে তখন স্কুলছাত্রী(ভিকটিম) তার পরিবারের কাছে কিছুই জানায় নি। পরবর্তিতে ১২ জুলাই স্কুলছাত্রী (ভিকটিম) বিষয়টি তার পরিবারের কাছে জানালে তার বড় বোন বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানান,জমাল হোসেন হাওলাদারের সাথে বারেক হাওলাদার (ভিকটিমের বাবা) এর আগে থেকেই জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।এরই সুযোগ নিয়ে ধর্ষনের নাটক সাজিয়ে সমাজে জামাল হোসেন কে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল উঠে পরে লেগেছে। জামাল হোসেন এমন নোংরা প্রকৃতির মানুষ নয়।
অভযিুক্ত মোঃ জামাল হোসেন হাওলাদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনিত অভেিযাগ মিথ্যা ও বানোয়াট। জমজিমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে আমাকে সমাজে হয়ে পতপিন্ন করতে তারা এ ষড়যন্ত্র করছে।

রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো:জাহিদ হোসেন বলেন,এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং ভিকটিকে ম্যাডিকোলিগ্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

আমাদের বাণী ডট কম/১৩ জুলাই  ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।