বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই যুবকের নাম জামাল আহম্মেদ (২০)। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়ার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী (১৯) মামলা করেন। তরুণীর ভাষ্য, গত সোমবার রাতে ধর্ষনের ওই ঘটনা ঘটে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এসএম আবদুল গফুর বলেন, গত সোমবার রাতে ওই তরুণী বাড়ির পেছনে টিউবওয়েলে পানি আনতে যান। ওই সময় জামাল আহম্মেদ ও তাঁর আরেক সহযোগী শাহ জালাল (২৫) তরুণীর মুখ চেপে তুলে নিয়ে গিয়ে পাশে ফসলের খেতে ধর্ষণ করেন। তাঁর চিৎকারে স্থানীয়রা গিয়ে উদ্ধার করেন। এ সময় ওই দুই যুবক পালিয়ে যান।

এসআই বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তরুণীকে আগামীকাল শনিবার বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হবে।

তরুণী বলেন, স্বামীর সঙ্গে তালাক হয়ে যাওয়ার পর বাবার বাড়িতেই থাকতেন তিনি। কিছুদিন ধরে জামাল তাঁকে বিরক্ত করত। নানা ধরনের প্রলোভন দিত। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁকে ভয়ভীতিও দেখান জামাল। তাঁকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেছেন জামাল। এই মামলার আরেক আসামি পলাতক আছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছে পুলিশ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।