ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা; করোনা রোগীদের চিকিৎসায় রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে জানতেন না বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক। এদিকে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। যেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেও দেখা গেছে। নিজ হাতে তিনি পত্র হস্তান্তর করছিলেন।

আজ মঙ্গলবার (১৪ জুন ২০২০) সচিবালয়ে গণমাধ্যমকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালকে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হিসেবে চুক্তির বিষয়ে আমি জানতাম না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজির অনুরোধে তিনি ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়ার এখতিয়ার শুধু অধিদফতরের রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক্ষেত্রে কোনো দায়ভার নেই।

এদিকে করোনার চিকিৎসা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ভাইরাল ছবিতে দেখা যায়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ একটি কাগজে স্বাক্ষর করছেন, তার পাশে বসা স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। পেছনে দাঁড়ানো সাবেক স্বাস্থ্যসচিব, বর্তমান স্থানীয় সরকারসচিব, জননিরাপত্তাসচিবসহ অন্য কর্মকর্তারা।

জানা যায়, গত ২১ মার্চ মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আগে করোনাসংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়। এর পরপরই উপস্থিত সচিবেরা যখন বের হয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেন, তখন মন্ত্রী তাদের বসতে বলেন। এ সময় চা-নাশতা দেওয়া হয়। এরপরই মহাপরিচালকের কক্ষে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ ঢোকেন। পরে মন্ত্রীর অনুরোধে অন্য সচিবদের উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অথচ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয় এখন এ বিষয়ে কিছু জানে না বলছে।

চুক্তি স্বাক্ষরের ওই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, অধিদপ্তরে করোনাসংক্রান্ত বৈঠকের পর মন্ত্রীর অনুরোধেই ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। একই কথা বলেন জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকের পর মন্ত্রী আমাদের চা খাওয়ালেন। এরপর বললেন, আপনারা যেহেতু উপস্থিত আছেন, আপনারাও দাঁড়ান।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করা হয়। পরদিন মন্ত্রণালয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে এর ব্যাখ্যা চায়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তা জানতে চায় মন্ত্রণালয়।

এর ব্যাখ্যা কাল-পরশুর মধ্যেই আমরা সব জানাব, বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

আমাদের বাণী ডট কম/১৪ জুলাই  ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।