মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন- সিলেট নাসিম কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তাহমিদা ইয়ামসিন ইভা। তার বাড়ি সিলেটের জালালপুর গ্রামে। তার লাশ নিয়ে গেছে পরিবার। আরেকজন হলেন ওই কলেজের ছাত্রী সানজিদা নাসিম। অপরজন হলেন কুলাউড়ার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম। তার লাশ নিয়ে গেছে স্বামী। আর সুনামগঞ্জের কাউসার।

এর আগে রবিবার রাত ১২টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল এলাকায় রেলপথের ব্রিজ ভেঙে উপবন এক্সপ্রেসের একটি বগি খালে পড়ে যায়।

ট্রেনটি সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসছিল। ঘটনার পরপর এলাকাবাসী, ফায়ার সার্ভিসের ২৭টি ইউনিট ও পুলিশ উদ্ধারে কাজ চালায়। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে চারজন ও বেসরকারিভাবে পাঁচজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে রেল দুর্ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যার একটি চার সদস্যের। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে রেলওয়ের চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (পূর্বাঞ্চল) মো. মিজানুর রহমানকে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি রবিবার রাত ১২টার দিকে বরমচাল স্টেশন থেকে ২০০ মিটার দূরে ইসলামাবাদ এলাকায় পৌঁছে। এসময় পেছন দিকের বগিতে বিকট শব্দ হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে সামনে বড়ছড়া ব্রিজ ভেঙ্গে নিচে পড়ে যায় একটি বগি। আরো তিনটি বগি ব্রিজের পাশে উল্টে দুমরে মুচড়ে পড়ে। অন্য আরো দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।