ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা;  ২০১৮ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়া প্রায় ৩৭ হাজার পরীক্ষার্থীকে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডেপুটি স্পীকার এডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকুসহ প্রায় ১০০ সাংসদের সুপারিশপত্র জামা দেয়া হয়েছে।

সুপারিশপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮ প্যানেল প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জনাব আব্দুল কাদের, সহ-সভাপতি জনাব বাবুল মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক জনাব মো: আবু হাসান ও কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮ এর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চূড়ান্ত ভাবে সুপারিশ প্রাপ্ত না হওয়া ৩৭ হাজার মেধাবী শিক্ষার্থীরা প্যানেলে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন যা আজ অবধি চলমান রয়েছে। দাবি আদায়ের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ২৩ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন, ২৪ শে ফেব্রুয়ারি সারাদেশে মানব বন্ধন ও ডিসি মহোদয়ের নিকট স্মারকলিপি প্রদান এবং ৩-৮ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

সূত্র জানায়, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ এর প্যানেল বাস্তবায়ন কমিটি রোজ মঙ্গলবার (২১ জুলাই ২০২০) এ সুপারিশপত্র এর কপি জমা দেন দেয়। মাননীয় সংসদ সদস্যগণের সুপারিশপত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং অনুলিপি:

১। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

২। সভাপতি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, জাতীয় সংসদ।

৩। সিনিয়র সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

৪। মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া শতাধিক মাননীয় সংসদ সদস্যগণের সুপারিশপত্র এ বলা হয়, ‘ শূন্য পদের বিপরীতে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পূরণ করা বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার তাই মুজিববর্ষের উপহারস্বরূপ মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ৩৭ হাজার শিক্ষিত বেকারকে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ দানে সুপারিশ করেন।’

চাকরি প্রার্থীরা বলেছেন, ‘আমাদের পড়াশোনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চরম সেশনজট ছিল। অন্যদিকে, সার্টিফিকেট পাওয়ার পর হাইকোর্টের রিট জটিলতার কারণে ২০১৪-১৮ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কোনো বিজ্ঞপ্তি হয়নি। এমনকি ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কোনো প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়নি। অথচ আগে ৬ মাস পরপর সহকারী শিক্ষক ও ২ বছর পর পর প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হতো। তাই আমরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তাছাড়া ইতিমধ্যে আমাদের অনেকের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বসয়সীমা শেষ হওয়ায় এটাই ছিল সর্বশেষ সুযোগ।

তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সারা দেশ থেকে প্রায় ২৪ লাখ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্য থেকে ৫৫ হাজার ২৯৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে ইতিমধ্যে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বাকি ৩৭ হাজার পরীক্ষার্থীদের প্যানেল গঠনের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে অতি দ্রুত নিয়োগের জন্য মাননীয় সংসদ সদস্যগণের সুপারিশপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেন।’

আমাদের বাণী ডট কম/২১ জুলাই ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।