নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা; নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে কোনো কোনো উপজেলা শিক্ষা অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস এবং আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের কাছে অনৈতিক অর্থ দাবি করছেন। কমিশনের গোয়েন্দা অনুবিভাগ এসব অভিযোগ দুদক চেয়ারম্যানসহ কমিশনকে জানিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (০৫ মে ২০২০) দুদকের গোয়েন্দা অনুবিভাগ, সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা) এবং বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ সভায় এ বার্তা দেন।

এসময় দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তিতে কোনো প্রকার ঘুষ-দুর্নীতি বা হয়রানি সহ্য করা হবে না।

এ প্রেক্ষাপটে দুদক চেয়ারম্যান সংস্থাটির কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক এক বার্তায় নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তিকরণে কোনো প্রকার দুর্নীতি, অনিয়ম, হয়রানি কমিশন সহ্য করবে না। সজেকার কর্মকর্তারা ও বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এ এমপিওভুক্তিকরণ কার্যক্রম নিবিড় নজরদারি করবেন। কোনো অবস্থাতেই অযোগ্য শিক্ষক যেন ঘুষ দিয়ে এমপিওভুক্ত হতে না পারেন। ‘

আবার কোনো যোগ্য শিক্ষক-কর্মচারীর কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট অফিসের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী যাচাই-বাছাইয়ের নামে ঘুষ নেওয়ার সুযোগও যেন না পায়। এ কার্যক্রম এমনভাবে মনিটরিং করতে হবে, যাতে কারো পক্ষে ঘুষ দেওয়া এবং ঘুষ নেওয়ার সুযোগ না থাকে। প্রয়োজনে ফাঁদ মামলা পরিচালনা করে অপরাধীদের আইন-আমলে নিয়ে আসতে হবে।’

তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে, ঘুষ নেওয়া যেমন ফৌজদারি অপরাধ, তেমনি ঘুষ দেওয়াও একই জাতীয় (সমান) অপরাধ। এ অপরাধে যারাই সম্পৃক্ত হবেন তাদের আইনের মুখোমুখি করা হবে।

আমাদের বাণী ডট কম/০৫ মে ২০২০/ভিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।