ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা;  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে প্যানেল নিয়োগ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন নিয়োগ প্রত্যাশীরা। এ দাবিতে গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাদা পতাকা প্রদর্শন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। ‘২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত (২০১৪ স্থগিত) লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯ হাজার ৭৮৮ জনকে নিয়োগ প্রত্যাশী’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে নিয়োগ প্রত্যাশীরা বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা সংকটে অনেক শিক্ষক চাকুরী হতে অবসর গ্রহনের ফলে শিক্ষাখাতে ব্যাপক শিক্ষক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশকরা, আবেদনপত্র সংগ্রহ ও বাছাই করা, পরীক্ষা গ্রহণ, ফলাফল প্রকাশ, তথা সামগ্রিক নিয়োগ কার্যক্রম সম্পাদন যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ এবং ব্যয় সাপেক্ষ। কিন্তু ২০১৪ স্থগিত ২০১৮ অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সকলকে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ দিলে মেধাবীরা যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে তেমনি কোমলমতি শিশু শিক্ষর্থীরা পাবে মেধাবী শিক্ষক এবং প্রাথমিকে চলমান শিক্ষক সংকটও কেটে যাবে। মুজিববর্ষে কেউ বেকার থাকবেনা এবং ঘরে ঘরে চাকরি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারও বাস্তবায়ন হবে।

মানববন্ধনে জানানো হয়, গত ১২ জুলাই ২০১৪ স্থগিত ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯৭৮৮ জন প্রার্থীদের প্যানেল নিয়োগের যৌক্তিকতা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে প্যানেল প্রত্যাশীরা। একই তারিখে প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারীশিক্ষক’ শূণ্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবার দীর্ঘ চার বছর পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে নিয়োগ প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়। ২০১৪ সালে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সাড়া দিয়ে ১৩ লাখপ্রার্থী আবেদনপত্র জমা দেয়। এত বিপুলসংখ্যক আবেদনকারীর মধ্যে মাত্র ২৯ হাজার ৫৫৫ জন (মহিলা ২০,৪৬৬ এবং পুরুষ ৯,০৮৯) উত্তীর্ণ হয়। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে নিয়োগ প্রদানের জন্য ৯ হাজার ৭৬৭ জনকে চ‚ড়ান্তভাবে মনোনীত করে ফল প্রকাশ করা হয়।

আমাদের বাণী ডট কম/২৫ জুলাই ২০২০/পিপিএম

সৈয়দপুরের বিজ্ঞাপন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।