প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকায় নেত্রকোনায় আট শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার রাত আটটার দিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

অন্যদিকে, ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকায় আরও তিন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় উপপরিচালক (ডিডি) বরাবর পত্র দেওয়া হয়েছে।

বরখাস্ত শিক্ষকদের মধ্যে দুজন মদন উপজেলা, একজন আটপাড়া উপজেলা ও পাঁচজন কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক।

তাঁরা হলেন কেন্দুয়ার দিগদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান, নওয়াপাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাওয়া বেগম, একই বিদ্যালয়ের নিপা মোনালিস, বলাইশিমুল বিদ্যালয়ের শিক্ষক মরিয়ম আক্তার, কেন্দুয়া মডেল বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাহমিনা আক্তার, আটপাড়ার তেলিগাতি বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্মৃতি খানম, মদনের খাগুরিয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক লাকি আক্তার, মদনের জঙ্গল টেংগা বিদ্যালয়ের শিক্ষক জেবুন্নাহার ডলি। বর্তমানে এই শিক্ষকেরা সবাই কারাগারে আছেন।

তিনজন প্রধান শিক্ষক হলেন কেন্দুয়ার বলাইশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল মান্নান, পুরাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুস সাকি, পানগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তুহিন আক্তার।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে শিক্ষকদের সাময়িকভাবে বরখাস্তের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার নিয়োগ পরীক্ষার চলাকালে ওই চক্রটি কেন্দুয়া শহরের একটি বাড়ি থেকে প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করছিল। এ সময় পুলিশ ৩২ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে ওই দিন রাতে কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। শনিবার বিকেলের দিকে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

নেত্রকোনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘এ চক্রের সঙ্গে নেত্রকোনা সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মোমেন খান, উন্মেষ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আরিফুল ইসলাম, বাংলা কৃষ্ণ গোবিন্দ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ঝন্টুসহ আরও কয়েকজন জড়িত। তাঁদের নামেও মামলা হয়েছে। তাঁরা কেন্দ্র থেকে মুঠোফোনে প্রশ্নের ছবি তুলে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।