স্কুল কলেজ শিক্ষকদের এমপিও দিতে তৈরি করা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সফটওয়্যার ব্যবহার করেই দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিও দেয়া হতো। কিন্তু ইএমআইএস সফটওয়্যার নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। মাদরাসা শিক্ষকদের পৃথক এমপিও সফটওয়্যার মেমিস তৈরি করা হয়েছে। খুব শিগগিরই মেমিসে মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপ্রওভুক্তির কার্যক্রম শুরু হবে। এ বিষয়ে নির্দেশনা দিতে আগামী ১৩ অক্টোবর পাঁচ শতাধিক উপজেলা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিয়ে এক কর্মশালার আয়োজন করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এ কর্মশালায় মাদরাসা শিক্ষকদের নতুন এমপিওভুক্তির স্থগিত থাকা কার্যক্রম চালুর বিষয়ে এ কর্মশালায় নির্দেশনা দেয়া হবে। খুব শিগগিরই মেমিসে মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিও আবেদন গ্রহণ শুরু হবে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র।

জানা গেছে, গত গত ১১ সেপ্টেম্বর ইএমআইএস সেলে মাদরাসা শিক্ষকদের অনলাইন ও অফলাইনে নতুন এমপিওভুক্তি, বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও তথ্য সংশোধনী কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এসব আবেদন না পাঠাতে আঞ্চলিক উপ-পরিচালকদের বলেছিল মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।

সূত্র জানায়, স্কুল কলেজ শিক্ষকদের এমপিও দিতে তৈরি করা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সফটওয়্যার ব্যবহার করেই দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিও দেয়া হতো। কিন্তু ইএমআইএস সফটওয়্যার নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। মাদরাসা শিক্ষকদের পৃথক এমপিও সফটওয়্যার মেমিস তৈরি করা হয়েছে, হয়েছে জনবল নিয়োগ। মেমিসএ তথ্য অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে ইএমআইএস সেল থেকে এমপিওভুক্ত মাদরাসা শিক্ষকদের তথ্য চাওয়া হয়। ইএমআইএস থেকে তথ্য মেমিসে সুষ্ঠুভাবে অর্ন্তুভুক্ত করা হচ্ছে। এসব তথ্য অন্তর্ভুক্তির জন্যই ইএমআইএস সেলে মাদরাসা শিক্ষকদের নতুন এমপিও আবেদন পাঠাতে উপপরিচালকদের বলেছিল মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা  জানান, তথ্য অন্তর্ভুক্তির কাজ প্রায় শেষ। আগামী ১৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা ইনস্টিটিউটে ৫১৩ জন উপজেলা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এ কর্মশালায় নতুন সফটওয়্যার মেমিসে নিবন্ধিত হওয়ার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হবে। খুব শিগগিরই মাদরাসা শিক্ষকদের নতুন এমপিও আবেদনের জটিলতা নিরসন হবে।

মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত ২ সেপ্টেম্বর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপপরিচালকদের নিয়ে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপপরিচালকদের মৌখিকভাবে ‘মেমিস’ সফটওয়্যারের বিষয়ে জানানো হয়েছে। ডিডি ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের ‘মেমিস’ সফটওয়্যারে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আগামী ১৩ অক্টোবরের কর্মশালায় এ বিষয়ে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হবে। খুব শিগগিরই নতুন শিক্ষকদের এমপিও আবেদন সরাসরি মেমিসে পাঠাবেন কর্মকর্তারা।

মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, সারাদেশের সাড়ে সাত হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত মাদরাসার দেড় লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও সংক্রান্ত সব তথ্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএম‌আইএস সফটওয়্যারে সংরক্ষিত ছিল। তাই, শিক্ষকদের বেতন, বোনাস, ইনক্রিমেন্টসহ সব কিছু হিসেব করতে শিক্ষা অধিদপ্তরের উপর নির্ভরশীল ছিল মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতেই আলাদা সফটওয়্যার তৈরির উদ্যোগ নেয় সরকার। সফটওয়্যার প্রস্তুত। জনবল নিয়োগ সম্পন্ন। চলতি মাস থেকে এ সফটওয়্যারে কাজ অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।