গাইবান্ধা জেলা জুড়েই সূর্যের দেখা নেই,  শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। ৩য় দফায় আবারও হিমেল হাওয়াসহ ঘন ঘন কুয়াশা পড়া অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধা জেলার জনজীবন ব্যাপকভাবে কাহিল হয়ে পড়েছে।গতকাল রবিবার থেকে আজ সোমবার সারাদিন কোথাও সূর্যের মুখ দেখা মেলেনি।

আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে গোটা গাইবান্ধা জেলা। এরসাথে মৃদু মৃদু ঠান্ডা বাতাস শরীরে হার কাপা শীত উঠে যায়। এখনো হিমেল হাওয়া বইতে বইছে। হঠাৎ করে শীত শুরু হওয়ায় এবং রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত কুয়াশা পড়ায় এ জেলার মানুষরা চরম বিপাকে পড়েছে।

শীতের তীব্রতায় ও হিমেল বাতাসে জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ছিন্নমুলসহ চরাঞ্চলের মানুষরা বেশী দুর্ভোগের কবলে পড়ে। শীতে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা এতে কষ্ট পাচ্ছে বেশি। শহরের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে এখন মানুষের উপচে পড়া ভীড়। এই সুযোগে গাউন মার্কেট ও গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ব্যবসায়িরা কাপড়ের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়েছে। ফলে অর্থাভাবে দরিদ্র মানুষদের পক্ষে শীতের কাপড় সংগ্রহ করা খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঘন কুয়াশার কারণে এদিকে ব্রহ্মপুত্র-যমুনাসহ অন্য নদ-নদীতে নৌ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে মূল ভূমির সাথে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। রাতে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চরাঞ্চলের মানুষদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এদিকে ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকায় সরিষা গাছের ফুল ঝড়ে পড়ছে ও আসন্ন ইরি-বোরো বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকায় আলু কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।