অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী আগামীকাল শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। তাই ওই দিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যার আগেই উপকূলীয় জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল জানান, উপকূলীয় জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মানুষদের শুক্রবার সন্ধ্যার আগেই আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে।

ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, উপকূলীয় ১৯ জেলায় তিন হাজার ৮৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব জেলায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যারা নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসবে।

সভায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পুরো বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড়ের আওতায় থাকবে, এই সময়টা ক্রিটিক্যাল। উচ্চগতির বাতাস ও দমকা ঝড়ো হাওয়ার সময় সবাইকে নিরাপদে থাকতে হবে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী’র কবল থেকে দেশবাসী যেন রক্ষা পায়, সেজন্য আগামীকাল শুক্রবার (৩ মে) বাদজুমা মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য জানান। এর আগে, লন্ডন সফররত প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের মাধ্যমে দেশবাসীর প্রতি এ আহ্বান জানান।

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।