কিছুদিন আগে সরকারি চাকরিতে ঢোকার আগে প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট বা মাদক পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বলেছিলেন, পুলিশ, জনপ্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কমচারীদের কেউ মাদক সেবন করেন-এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মাদক পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যদিও নতুন এই মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ চলছে ঢিমেতালে। তবে দেশের প্রথমবারের মত ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এ ব্যাপারে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্দেহভাজন মাদকাসক্ত শিক্ষকদের ডোপ টেস্ট করা হবে। তাদের মধ্যে কেউ মাদকাসক্ত থাকলে তাদেরকেও পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষকরা যদি কেউ মাদকাসক্ত থাকে তাহলে তাদেরও এ আওতায় আনা হবে। সন্দেহভাজন শিক্ষকদের ডোপ টেস্ট করা হবে। এ কার্যক্রম সারাবছর চলবে। প্রত্যেক ইয়ারব্যাপী বিনামূল্যে ডোপ টেস্ট করা হবে। তাছাড়া, হল এবং ডিপার্টমেন্টে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাদেরকে সন্দেহ হবে তাদেরকে ডোপ টেস্ট করা হবে। যাদের পজিটিভ আসবে তাদেরকে রিহ্যাবের আওতায় আনা হবে।

জানা গেছে, দেশে প্রথমবারের মত ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। গত ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের শুরু হয়।

অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শুধুমাত্র ফার্স্ট ইয়ার নয় প্রত্যেক ইয়ারের ছেলেমেয়েদেরও ডোপ টেস্ট করা হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।