শৈলকুপার সরকার পাড়ার প্রতিবন্ধী উকিল উদ্দিণ এর দোকান বলতে অস্থায়ী একচিলতে জবুথবু বসার জায়গা। আর মালামাল হলো কোনদিন কিছু ঝুড়ি ভাজা, কখনো অল্পকটা বাদাম কিংবা মুড়ির মোয়া। খরিদ্দার বলতে পাইলট স্কুলের ছোট বাচ্চারা । পুঁজি বলতে ৭০ থেকে ১ ‘শ টাকা। সত্যিকার এমন দোকানী শৈলকুপায় নাই। রোদ-বৃষ্টি আর প্রচুর যানবাহনের মধ্যে ঝুঁকি নিয়েই চলে প্রধান সড়কে তার নামমাত্র ব্যবসা। মূলত স্বচোখে না দেখলে বিবেকের অনুভূতি নাড়া দেবেনা। প্রতিবন্ধী হলেও কর্ম তাকে ব্যবসায়ী হিসেবে বাঁচিয়ে রেখেছে। স্কুল ছুটি, শুক্রবার এবং অবিরাম বৃষ্টিতে তার ব্যবসায় ভাটা পড়ে। তবুও জীবন যুদ্ধজয় করে সম্মানের সাথেই টিকতে চায় বয়স্ক উকিল উদ্দিণ।

এমনি এক ফেসবুকে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে বৃদ্ধ শারীরিক প্রতিবন্ধী বাদাম বিক্রেতা উকিল উদ্দিনের পাশে এসে দাড়ালেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উসমান গনি। প্রতিবন্ধী উকিল উদ্দীণকে চলাচলের জন্য একটি হুইল চেয়ার এবং তার ব্যবসা চালানোর জন্য ৫০০০/- টাকা প্রদান করেন।

এদিকে, নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, কয়েকদিন পূর্বে ফেসবুকে দেখতে পায় প্রতিবন্ধী উকিল উদ্দীণকে নিয়ে একটি হৃদয় বিদারক পোষ্ট। সেকারণেই আপাতত একটি হুইল চেয়ার ও তার ব্যবসা চালানোর জন্য কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে পরবর্তীতে তার জন্য ভাল কিছু করে দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।