ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জিতু(১৩) নামে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে বখাটেরা। শ্লীলতাহানির ব্যর্থ হয়ে ওই ছাত্রীর শরীরে কেমিক্যাল পাউডার নিক্ষেপ করেছে বখাটেরা। শনিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে। জ্যোতি পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

এঘটনায় ওই ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, বখাটে আজমীর ও তার সহযোগীরা প্রায় আমাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। কিন্তু ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারিনি। এমতাবস্থায় শনিবার (২১ জুলাই) স্কুল থেকে ফেরার পথে ওরা আমার পিছু নেয় এবং উপজেলা পরিষদের সামনে আমাকে ও আমার বান্ধবীসহ পথ রোধ করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এবং ব্যর্থ হয়ে শরীরে কেমিক্যাল পাউডার নিক্ষেপ করে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বখাটে আজমীর ও তার সহযোগিরা প্রায় ছাত্রীদের অশ্লীল কথাবার্তা ও রাস্তার মাঝে দাড় করিয়ে উত্ত্যক্ত করে। তবে কেউ সম্মানের ভয়ে এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস করেনি। আজমীর রহমান উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের শওকত উদ্দীণের ছেলে। আজমীর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

শৈলকুপা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উসমান গনি বলেন, ছাত্রী শ্লীলতাহানির ঘটনা আমি শুনেছি এবং সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে তাৎক্ষনিক বখাটেদের ধরতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) বজলুর রহমান বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে অভিযুক্ত বখাটেদের ধরতে ইতিমধ্যে তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। এখনো বখাটেদের গ্রেফতার করতে পারিনি। তবে বখাটেদের ধরতে অভিযান অব্যহত আছে।

শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, বখাটেদের দ্বারা জিতু শ্লীলতাহানির স্বীকার হয়েছে এমন সংবাদ শুনে তাৎক্ষনিকভাবে জিতুর অভিভাবক ও আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিয়েছি। তিনি তাৎক্ষনিকভাবে বখাটেদের ধরতে ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন।

তিনি আরো বলেন, বখাটে আজমীর ও তার সহযোগিদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর সাজা প্রদান হোক। এবং বখাটেদের দ্বারা আর কোন ছাত্রী যাতে শ্লীলতাহানির স্বীকার না হয় সে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।