গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায় প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন,র্যালী ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর গ্রাহকরা। প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও শেখ জসিম উদ্দিনের পরিচালনায় ।
পল্লী বিদ্যুৎ এর গ্রাহকদের আয়োজনে বুধবার বেলা ১১টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর মাওনা জোনাল অফিসের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি প্রতিবাদ মিছিল মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সভায় বক্তারা বলেন পূর্বের বিদ্যুতের মিটারের চাইতে প্রিপেইড মিটারে বিল বেশি আসে। তাই আমরা এই প্রিপেইড মিটার চাইনা।
বক্তরা আর ও বলেন, আমাদের মধ্যে এখনও অনেক লোক গরীব ও অসহায়। হাজার হাজার গ্রাহক আছেন যারা কারখানা শ্রমিক। তারা এক মাস কাজ করে পরের মাসের ১০তারিখের পর বেতন পান। আগে বেতন পেয়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হতো। প্রিপেইড মিটার স্থাপনের পর এখন অগ্রীম টাকা জমা দিলেই বিদ্যুৎ মিলছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারী গ্রাহকদের অগ্রিম টাকা জমা দিয়ে অনেকের পক্ষে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না।
বর্তমান সরকারের কল্যাণেই সবার ঘর বিদ্যুতের আলোয় এখন আলোকিত। কিন্তু গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরী না করেই গ্রাহকদের প্রিপ্রেইড মিটার দেয়া হচ্ছে, কিন্তু প্রিপেইড মিটারের কোন ধরনের সুফল এখনও আমরা খুঁজে পাইনি। নতুন এই ঝামেলা থেকে আমরা মুক্তি চাই, দ্রুত প্রিপেইড মিটার প্রতিস্থাপন বন্ধ করতে হবে না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচীতে নামব।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শ্রীপুর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মন্ডল বুলবুল, জেলা পরিষদ সদস্য নুরুল ইসলাম শিমুল, মাওনা চৌরাস্তা ব্যবসায়ী মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোশারফ সরকার, জেলা মহিলালীগ নেত্রী আঞ্জুমান আরা শিউলী, তেলিহাটি ইউনিয়নের যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক রানা, বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের শ্রীপুর উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ রোমান, লিটন ফকির প্রমুখ।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ মাওনা জোনাল অফিসের উপ:মহাব্যবস্থাপক কামাল পাশা জানান, প্রিপেইড মিটার স্থাপন সরকারের সিদ্ধান্ত। আমরা এমন সিদ্ধান্তের আলোকেই গ্রাহকদের পুরাতন মিটারের স্থলে প্রিপেইড মিটার প্রতিস্থাপন করছি। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোন ধরনের অবকাশ নেই।