সময়ের আগেই স্থলভাগে আঘাত হানছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। ভারতের ওড়িশা রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মুখপাত্র সংগ্রাম মহাপাত্র জানান, ফণী শুক্রবার সাড়ে ৫টা নাগাদ স্থলভাগে আঘাত হানবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু দুপুর ১২ থেকে ২টার মধ্যেই ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড় উপকূলীয় এলাকাগুলোতে আঘাত হানবে।

ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তার পর্যালোচনা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্ত্রিসভার সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং আবহাওয়া দপ্তর, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে আর্থিক সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রাণলয়। অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গের জন্য ১ হাজার ৮৬ কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে।

ঝুঁকিপ্রবণ রাজ্যের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করতে মোদি তার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তুতি ও কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

এদিকে ওড়িশায় সমু্দ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে পর্যটকদের। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিতে মাইক নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। তাছাড়া হোটেল ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে পর্যটকদের।

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শুক্রবার বিকেল থেকে পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুরে শুরু হবে ঝড়বৃষ্টি। শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই বর্ধমানে। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।

[wpdevart_like_box profile_id=”https://web.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।