প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের এবারের বাজেটে প্রস্তাবিত ব্যয়ের প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকাই চলে যাবে ঋণের সুদ পরিশোধ এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতায়। এই অংক রাজস্ব বাজেটের প্রায় অর্ধেক।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত বৃহস্পতিবার সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। এরমধ্যে রাজস্ব বাজেটের (পরিচালন বাজেট) পরিমাণ ৩ লাখ ১১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা।

নতুন বাজেটের এই ব্যয়ের অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট রাজস্ব বাজেটের এক লাখ ৪৪ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা খরচ হবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, পেনশন এবং সুদ মেটাতে।

বাজেটের সবচেয়ে বেশি অর্থ ৬০ হাজার ১০৯ কোটি টাকা চলে যাবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন ভাতায়। যা মোট রাজস্ব বাজেটের ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ।
সুদ পরিশোধে খরচ হবে ৫৭ হাজার ৬৮ কোটি টাকা বা ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ। আর অবসরে যাওয়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পেনশন বাবদ ব্যয় ব্যয় হবে ২৭ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। এই অংক ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।

বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মূল বাজেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন ভাতায় বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ৫৮ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা অবশ্য কিছুটা কমিয়ে ৫৭ হাজার ৯৯৪ কোটি টাকায় নামিয়ে এনেছেন অর্থমন্ত্রী।

সুদ পরিশোধে বরাদ্দ ছিল ৫১ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে কমে ৪৮ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা হয়েছে। পেনশনে মূল বাজেটের ২৬ হাজার ৪৭ কোটি টাকা থেকে কিছুটা বেড়ে ২৬ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা হয়েছে।

নতুন বাজেটে এ খাতে বেশি অর্থ ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতি গবেষক জায়েদ বখত বলেন, সঞ্চয়পত্র বেশি বিক্রি হওয়ায় অভ্যন্তরীণ ঋণের বোঝা বেড়ে গেছে। সেই ঋণের সুদ পরিশোধের জন্যই অর্থমন্ত্রীকে এ খাতে বেশি বরাদ্দ রাখতে হয়েছে। এছাড়া বিদেশী ঋণের সুদ পরিশোধের জন্য বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।