কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম দ্বিতীয় শ্রেণির সব ধরনের চাকরি থেকে কোটা তুলে দেয়া হয়। ওই সময় জারি করা পরিপত্রে বলা হয়, ৯ম গ্রেড অর্থাৎ সাবেক প্রথম শ্রেণি এবং ১০ থেকে নিয়ে ১৩তম গ্রেড অর্থাৎ সাবেক দ্বিতীয় শ্রেণির সব পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা তুলে দেয়া হয়েছে।

ওই সময় ভুলক্রমে সাবেক প্রথম শ্রেণিভুক্ত ৮ম গ্রেড ও তদূর্ধ্ব পদে কর্মরতদের বিষয়ে কোনো বক্তব্য কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্রে কিছুই উল্লেখ ছিল না। অথচ ৯ম গ্রেড এবং ১০ থেকে ১৩তম গ্রেড ছাড়াও ৮ম গ্রেড ও তদূর্ধ্ব পদেও সরকারি কর্মকমিশন সরাসরি জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপন করা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব হচ্ছে ৯ম গ্রেডের স্থলে ৯ম ও তদূর্ধ্ব পদে জনবল নিয়োগে সব ধরনের কোটা বাতিল করা হলো। এ প্রস্তাব অনুমোদনের পর ফের পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

  প্রচ্ছদ  বাংলাদেশ  সরকারি চাকরিতে কোটা বন্টন পদ্ধতি স্পষ্টীকরণ প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ১১:০৮     প্রিন্ট    সরকারি চাকরিতে কোটা

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে বেতন কাঠামো অনুযায়ী মোট ২০টি গ্রেড রয়েছে। এর প্রথম গ্রেডে অবস্থান করেন সচিবরা। আর প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে যারা নিয়োগ পান তাদের শুরুটা হয় ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের মধ্যে। একজন গেজেটেড বা নন গেজেটেড প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা ৯ম গ্রেডে নিয়োগ পেয়ে থাকেন। এসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমানে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ জেলা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা ও শর্ত সাপেক্ষে ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা অর্থাৎ মোট ৫৬ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের বিধান ছিল।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।