সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরও দুই শিক্ষিকাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও নিরীক্ষণে অবহেলা করায় তাদের বহিষ্কার করেছে ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। গত ৩১ জুলাই এক অফিস আদেশে কালীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুবিনা খাতুন ও পাপিয়া খাতুনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ১ অগাস্ট থেকে তাদের এই বহিষ্কার আদেশ কার্যকর হয়েছে।

 পাপিয়া খাতুন বর্তমানে হাটবাকুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।

বহিষ্কারের বিষয়ে বলা হয়, ২০১৮ সালে সমাপনী পরীক্ষায় বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিলেন রুবিনা খাতুন এবং নিরীক্ষক ছিলেন পাপিয়া খাতুন। তারা উভয়ে পরীক্ষার্থী আরাফাত সিদ্দিক অহনের ( রােল নম্বর ৩৯৩০) বালাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও নিরীক্ষণের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্ত ওই বিষয়ের মােট নম্বরের ঘরে যােগফল ৯৬ এর স্থলে ৭৬ লেখা হয়েছে। পরে দু’জনের কেউ তা সংশােধন করে নাই। ফলে ওই শিক্ষার্থীর ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে।

আরও বলা হয়, তাদের এরূপ কার্যকলাপ সরকারি দায়-দায়িত্ব পালনে অবহেলা জনিত অসাদাচরণের সামিল এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিধায় আপনাকে সৱকারি কর্মচারী শৃংখলা ও আপীল বিধি ২০১৮ এর ২(আ) এবং ৩(খ) অনুযায়ী দায়িত্বে অবহেলা জনিত অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত করা হল এবং একই বিধিমালার ১২এর উপবিধি(১) মােতাবেক সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হল।

অফিস আদেশে বলা হয়, সাময়িকভাবে বরখাস্তকালীন সময়ে তারা কর্মস্থলেই অবস্থান করবেন এবং কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতীত অন্যত্র যেতে পারবেন না। অন্য কোন চাকুরি বা পেশা গ্রহণ করতে পারবেন না। তবে তারা বিধি মােতাবেক খােরপােষভাতা প্রাপ্য হবেন। তাদের বহিষ্কার আদেশ ১ অগাস্ট হতে কার্যকর হয়েছে।

এর আগে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সাবলীলভাবে ইংরেজি পড়তে না পাড়ার অজুহাতে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক নার্গিস সুলতানা ছবিকে সাময়িক বরখাস্ত করায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। তবে তাকে বরখাস্ত করে জারি করা চিঠির ২২ জায়গায় ভুল করেছেন খোদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো. আক্তারুজ্জামান। যদিও আজ রোববার সেই আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।