ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও যুবলীগ নেতা তাকজিল খলিফা কাজলকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে মানবজমিন পত্রিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিজস্ব প্রতিবেদক জাবেদ রিহম বিজনকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন তার সমর্থকরা।

হত্যার পর মামলা চালানোর জন্য দেড় কোটি টাকার বাজেট করার কথাও ফেসবুকে পোস্ট করেছে হুমকিদাতারা। শনিবার রাতে ‘কাজল ভাইয়ের সমর্থক’ নামীয় একটি ফেসবুক আইডি থেকে ওই পোস্ট দেয়া হয়েছে।

সাংবাদিক বিজনের হাতের মূল্য এক কোটি ও পায়ের মূল্য ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে ওই ফেসবুক পোস্টে। অন্য আরেকটি পোস্টে ‘বিজনকে যেখানে পাবে- তাকে সাইজ যে করতে পারবে তাকে পুরস্কৃত করা হবে’ এই ঘোষণাও দেয়া হয়।

এর আগে গত ২৫ অক্টোবর ‘আখাউড়ায় খলিফা সাম্রাজ্য’ শিরোনামে মানবজমিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে মেয়র ও যুবলীগ নেতা তাকজিল খলিফা কাজলের নানা ‘অপকর্মের’ কথা তুলে ধরা হয়।

কাজল ছাড়াও তার ভাই-ভাতিজাদের ‘অপকর্মের’ কথাও ওঠে আসে ওই সংবাদে। ওইদিনের মানবজমিন পত্রিকার কয়েকশ’ কপি আখাউড়ায় ছিনতাই করে নেয়া হয়। এরপর পত্রিকার সেগুলো কাজলের বাড়িতে নিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।

উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু ছাড়াও কাজলের ভাতিজা রানা খলিফা পত্রিকা ছিনতাই ও পুড়ানোর ঘটনার নেতৃত্ব দেন।

পাশাপাশি সাংবাদিক বিজনের দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং মানবজমিন পত্রিকা আখাউড়ায় অবাঞ্ছিত লিখে যুবলীগের নামে একটি পোস্ট দেন কাজলের ছোট ভাই নেছার আহমেদ খলিফা।

উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু, সহ-সভাপতি সৈয়দ যুবরাজ শাহ রাসেল, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়ন, পৌর যুবলীগ সভাপতি মো. মনির খানসহ ইত্যাদি নামীয় ফেসবুক আইডি থেকে হুমকি দিয়ে পোস্ট দেয়া হচ্ছে।

এই ব্যাপারে সাংবাদিক জাবেদ রহিম বিজন বলেন, যুবলীগ নেতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের কাছে অসহায় আখাউড়ার মানুষ, সেই চিত্রই তুলে ধরা হয়েছে সংবাদে। যা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। তবে এই সংবাদে দুর্বৃত্তদের মাথায় বাজ পড়েছে। তাই তারা এ সব করছে।

হুমকির ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, আমার কোনো ফেসবুক আইডি নেই, একটি লাইক পেজ আছে। ফেক আইডি থেকে কাউকে দিয়ে এটি করানো হয়েছে। ওই আইডির বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।