ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত প্রতিষ্ঠানকে মডেল কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠাসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছেন সাত অধ্যক্ষ। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে শনিবার ( ২ নভেম্বর) আবেদন করেন তারা। অধ্যক্ষরা বলছেন, সাত দফা বাস্তবায়ন করা গেলে ঢাবির ওপরও চাপ কমবে।

লিখিত আবেদন বলা হয়, ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজে ৪ বছরের সমন্বিত অনার্স ( পূর্বের ৩ বছরের অনার্স) ও মাস্টার্স, ৩ বছরের ডিগ্রি পাস (পূর্বে ২ বছরের ডিগ্রি), এবং ইন্টারমেডিয়েট শ্রেণিতে পাঠ দান করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তাল মেলাতে প্রতিটি বিভাগে ১৬জন শিক্ষক জরুরি। পদ সৃষ্টির পূর্ব পর্যন্ত এসব কলেজে সংযুক্ত পদায়ন সম্ভব। পুরানো কলেজে এখনো অনেক সংযুক্ত আছে। নতুন সব কলেজেই সংযুক্ত নবায়ন রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রতিনিয়িত এজন্য চাপ সৃষ্টি করছে। তাই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে পদ সৃষ্টির পূর্বে সংযুক্তির মাধ্যমে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ।

কলেজের বৈজ্ঞানিক ও কম্পিউটার ল্যাব আধুনিকীকরণ ও সুসজ্জিতকরণ।অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কার। অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের মান উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের জন্য সিইডিপি প্রজেক্টে অন্তর্ভূক্তকরণ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৭ কলেজকে বাদ দিয়েছে। ক্লাস ও পরীক্ষা যথাসময়ে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ এবং নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতি কলেজে কমপক্ষে ৫টি বাস সরবরাহ। সংযুক্ত বা প্রকল্পের মাধ্যমে কলেজগুলাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ, ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং বায়োমেট্টিক হাজিরা নিশ্চিতসহ ডিজিটালাইজেশনে বিশেষ বরাদ্দ। বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও উৎসব উদযাপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে বরাদ্দ অথবা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়ের জন্য নির্দেশনা চেয়েছেন সাত কলেজের অধ্যক্ষ।

শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দেয়া আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নেহাল আহমেদ, ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শামসুন নাহার,সরকারি কবি নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার, সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আশরাফ হোসেন, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হোসনে আরা শেফালী,সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আবুল হোসেন এবং মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফেরদৌসী খান।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।