২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে দাখিল উত্তীর্ণদের সার্টিফিকেট ছাপাই হয়নি। কিন্তু ২ কোটি টাকার বিল তুলে নিলেন মাদরাসা বোর্ডের বিদায়ী চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম ছায়েফ উল্যাহ। ছাপাখানায় বিদ্যুতের সমস্যায় সার্টিফিকেট ছাপতে পারেনি এখনও। বিধান অনুযায়ী সব সার্টিফিকেট ছাপা হওয়ার পর প্রতিটি সার্টিফিকেটে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ কয়েকজনের সই হবে। এরপর সার্টিফিকেটগুলো মাদরাসা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে মাদরাসাগুলো সার্টিফিকেট নিয়ে নেবে। এরপর প্রতিটি সার্টিফিকেটে সই করার জন্য ৮০ টাকা করে চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ অন্যান্যদের মধ্যে বিতরণ হবে। কিন্তু বিদায়ী চেয়ারম্যান ২ লাখ ৫৫ হাজার সার্টিফিকেট ছাপার আগেই বিল তুলে নিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদরাসা বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান, সার্টিফিকেট ছাপা ও সই করার আগে বিল তোলার নজির গত ৪৭ বছরে কেউ দেখেননি। প্রায় ২ কোটি টাকা তোলার বিষয়ে বর্তমান রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কিছুই জানেন না বলে  নিশ্চিত করেছেন।

মাদরাসা শিক্ষকরা জানান, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের দাখিল পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের টাকা এখনো পাননি পরীক্ষক-নিরীক্ষকরা। জানা গেছে, দাখিল পরীক্ষার মূল সনদ বাবদ প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। এর ২০ টাকা জমা হয় বোর্ডের তহবিলে। আর বাকি ৮০ টাকা ভাগাভাগি হয়।

আজ ১৮ জুন ছায়েফ উল্যাহকে বিদায় জানাবেন অন্যতম দুর্নীতিবাজ জব্বারসহ অনেকে।

এদিকে দাখিল পরীক্ষা খাতা দেখার পারিশ্রমিক এখনো পাননি বলে  জানিয়েছেন পরীক্ষক ও নিরীক্ষকের দায়িত্বে থাকা শত শত শিক্ষক।

একজন হেড এক্সামিনার দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানান, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের দাখিল পরীক্ষার খাতা দেখার টাকা এ বছরের পরীক্ষা শুরুর কিছুদিন আগে পেয়েছি। এ বছরের টাকা জানুয়ারির আগে পাবো বলে মনে হয় না।

তিনি আরও জানান, বোর্ড পরীক্ষকদের কাছ থেকে অ্যাকাউন্ট নম্বর নিয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু কবে পাঠানো হবে তা আমরা জানি না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।