জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিঙ্গাপুরের পুলিশ ক্লাব হোম টিম এন এস’র ফাংশন হলে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও চট্রগ্রামের হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার অগনিত নাম না জানা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নির্মিত ডকু ফিল্ম মুক্তিযোদ্ধার গল্পের প্রিমিয়ার শো।
 ১৩ সেপ্টেম্বর  ২০১৯ এর শোতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গাপুরের সুশীল সমাজের প্রায় ১২০ জন অতিথি এবং সিঙ্গাপুর আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি, জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে প্রিমিয়ার শোর উদ্বোধন করা হয়। পুরো হল রুমে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ দাঁড়িয়ে সকলে এক সুরে জাতীয় সংগীত গেয়ে অনুষ্ঠানের উদ্ভোদন এ অংশ নেন। এর আগে সন্ধ্যা ঠিক সাতটার কিছু সময় পর থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বেই পুরো হল কানায় কানায় ভরে উঠে।

আমন্ত্রিত অতিথিদের আসন গ্রহনের পর অনুষ্ঠান পরিচালনার মাইক হাতে তুলে নেন মিস সুস্মিতা। এরপর একে একে শুভেচ্ছা বক্তব্য নিয়ে মঞ্চে আসেন বিশেষ অতিথিবৃন্দ। শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মির্জা গোলাম সবুর। তিনি তার বক্তব্যে এই ডকু ফিল্মটিকে পাইলট ফিল্ম হিসাবে বিবেচনা করে বলেন যে, এই ফিল্মটি আপনাদের সবার মন জয় করতে পারলেই হয়তো পরিচালক তার পরবর্তী ফিল্মের কাজ শুরু করতে অনুপ্রেরণা পাবে। তিনি আরো বলেন,  সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যে কাজ করছে তা অবশ্যই প্রশংসার  দাবিদার। এখন সময় এসেছে ইঞ্জি. মোশাররফ জুয়েলের মত যারা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাজ করছেন তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা। তিনি তার বক্তব্যে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানান।

এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশ সরকারের সাবেক হাই কমিশনার এম এ মালিক। তিনি তার বক্তব্যে বলেন মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান আর মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নির্মিত ডকু ফিল্মের প্রিমিয়ার শো সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হওয়ায় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি আরো বলেন বর্তমানের যে সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন তারা এ বিষয়টিকে স্পেশাল গুরুত্ব দিয়ে দেখে থাকেন, আর এই ডকু ফিল্ম সেই পালে আরো বেশি জোড়ালো হাওয়া দিয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম চৌধুরীকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।

এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিঙ্গাপুরে বসবাসরত  বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম চৌধুরী। তিনি তার বক্তব্য প্রদানের সময় বেশ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি তার বক্তব্যে যুদ্ধকালীন সময়ের বেশ কিছু স্মৃতিচারন করেন। তিনি বলেন আমরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। আমরা ৭১’এ যুদ্ধ করেছি লাল সবুজ পতাকার জন্য আর এখন আমাদের যুদ্ধ করতে হবে আগামীর উন্নত বাংলাদেশের জন্য।

মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নির্মিত এই বিশেষ ডকু ফিল্মর পরিচালক মোশাররফ জুয়েলকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। তিনি উপস্থিত সকল অতিথিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।

এরপর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম চৌধুরী আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথিদের নিয়ে প্রিমিয়ার শোর উদ্বোধন করেন।

এরপর হলে উপস্থিত সকল অতিথি  ডকু ফিল্মটি উপভোগ করেন। এরপর দেশের গান নিয়ে মঞ্চে আসেন কণ্ঠ শিল্পী মিস মিলিয়া ইসলাম সাবেদ। তিনি তার সুকণ্ঠে দেশের গান পরিবেশন করে উপস্থিত অতিথিদের মুগ্ধ করেন।

এরপর পরিবেশন করা হয় রাতের খাবার। প্রিমিয়ার শোতে আগত অতিথিদের মাঝে ডকু ফিল্মটির পরিচালক ইঞ্জি. মোশাররফ জুয়েলের পক্ষ থেকে সব  লাল সবুজের পতাকা তুলে দেয়া হয়। তখন পুরো হল রুম যেন রূপ হয়ে যায় মিনি বাংলাদেশ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।