প্রকাশ্য দিনের বেলায় ২৫-৩০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে বসতঘর ও সামনের ছোট্ট একটি গ্যারেজ। দা ছেনা লাঠি, লোহার রড, হাতুড়ি, শাবল নিয়ে হামলা চালিয়েছে দখলদার সন্ত্রাসীচক্র। ঘরের বেড়া টিন পিটিয়ে ভাংচুর করা হয়। এরপর সম্মুখভাগে টিনের বাউন্ডারি করে আটকে দেয়া হয়েছে। বাধা দিতে গেলে দুই মেয়েসহ মিনারাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। শত শত মানুষের সামনে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী এভাবে তান্ডব চালিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে ৪২ বছর ধরে বসবাস করা দরিদ্র মিনারা বেগম ও আবুল কালাম দম্পতিকে।

রবিবার শেষ বিকেলের এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে জনপ্রতিনিধিসহ গনমাধ্যম কর্মীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মিনারা বেগম এবং তার কন্যা তানিয়া।

মিনারা জানান, প্রায় কয়েকশ মানুষের সামনে সিনেমা স্টাইলে এ দখলের ঘটনা চালিয়েছে। কেউ এগিয়ে আসেনি। আমাকে মারধর করা হয়েছে। বাধা দিতে গেলে দুই মেয়ে তানিয়া ও সুমিকে ধাক্কা দেয়া হয়েছে। ওই সময় তার স্বামী বরিশালে চিকিৎসার জন্য ছিলেন। মিনারার অভিযোগ, অফিস মহল্লার সোহাগ, সবুজবাগের মাসুম বিল্লাহ ও টিয়াখালীর কালা মিরাজের নেতৃত্বে এমন তান্ডব হামলার ঘটনায় তারা গোটা পরিবার চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সবাই রয়েছেন চরম নিরাপত্তাহীন। বর্তমানের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছেন না। নিরাপত্তাহীন হয়ে আছেন। বসতঘরটি না ছাড়লে খুন-জখমের হুমকি দেয় বলে মিনারার দাবি। তিনি তার নিরাপত্তার জন্য পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

স্থানীয়রা জানান, কুয়াকাটাগামী সড়ক হওয়ার আগে থেকে কালাম তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ওই জায়গায় প্রথমে ঝুপড়ি ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন। পরে সমবায় বাংক থেকে মাটি ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। সামনের অংশে বারান্দায় একটি গ্যারেজ ও পেছনে বাসতবাড়ি করে থাকছেন।
অভিযুক্তদের একজন কালা মিরাজ ওরফে মিরাজ জানায়, ওই জমি সমবায় ব্যাংক একজনকে লিজ দিয়েছে। তার জন্য বেড়া দেয়া হয়েছে। মারধরের কথা ঠিক নয়। তবে উচ্চবাচ্য কথাবার্তা হয়েছে।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত সকল সহায়তা করা হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।