সুপার সাইক্লোন ‘ফণি’র সম্ভাব্য ক্ষতির বিষয় চিন্তাভাবনা করে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে এইচএসসির ৪মে’র পরীক্ষা। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলছে, শুক্রবার বিকেলের দিকে ঝড়টি বাংলাদেশ অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। সম্ভাব্য এ ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যে কিভাবে পরীক্ষায় অংশ নিবে পরীক্ষার্থীরা- তা নিয়ে কোনও মাথা ব্যাথাই নেই পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা পিএসসির।

পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক জানিয়েছেন, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সময় অনেক আগেই ঘোষণা করা। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ফণির কারণে পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত। দুশ্চিন্তায় উপকূলীয় ও দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের পরীক্ষার্থীরা। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক।

তারেক রহমান নামে এক পরীক্ষার্থী জানান তার ভোগান্তির কথা। তিনি বলেন, যেখানে দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে সেখানে পিএসসি কি এত বড় ঝুকি নিবে?

তিনি লিখেন, পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নাম্বার গুলোতে কল দিলাম, অনেক চেষ্টার পর কল ধরলো। বললাম দুর্যোগে সব কিছু বন্ধ থাকে উপকূল জেলাগুলোতে ৭নং বিপদ সংকেত, আপনারা পরীক্ষা নেবেন কি করে? তিনি বললেন, সমস্যা নাই। বললাম, আপনারা কি দুর্যোগের প্রস্তুতি নিয়েই পরীক্ষা নিচ্ছেন। উনি বললেন আসলে আমাদের কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। এরপর শুরু করি লিখিত অভিযোগ দেয়ার কাজ। যেতে যেতে অফিস বন্ধ হয়ে যাবে তাই মেইল করলাম সেখানে দেয়া সব কয়টি মেইল এড্রেসে। বাকিটা ইতিহাস। কেউ ফোন ধরল না।

তারেক জানান, দুর্যোগ নিয়ে আমি অল্প কয়েকদিন কাজ করছি। যেখানে লঞ্চ বন্ধ, দক্ষিনবঙ্গের ছেলে মেয়েরা চলাচল করবে কি করে? যেখানে অন্য সব পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে সেখানে পিএসসি এত বড় ঝুঁকি নেয় কি করে। কিছু হলে দায় কি পিএসসি নেবে…? লঞ্চ বন্ধ হবার কারণে যারা পরীক্ষা দিতে পারবে না তাদের কি বঞ্চিত করা হচ্ছে না?

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।