নীলফামারীর সৈয়দপুরে নদ-নদী, খাল তীরবর্তী দখলমুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত সোমবার শহরের উপকন্ঠে পঁচানালা খালের দুই পাশ দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানের প্রথমদিনে পঁচানালা খালের গোলাহাট ডাঙ্গাপাড়ায় দুই পাশের অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এ সময় গুড়িয়ে দেয়া হয় পাতাকুঁড়ি বিনোদন পার্কের সীমানা প্রাচীরসহ গড়ে ওঠা অবৈধ বাসাবাড়ি।

নীলফামারী জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকারের নেতৃত্বে ওই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

সৈয়দপুর পনি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, পঁচানালা খালটি প্রায় ২০০ বছর আগে জমিদার পচা সরকার খনন করেন। এলাকার সেচ সংকট ও বর্ষার পানি নিষ্কাশনের জন্য মূলতঃ খালটি খনন করা হয়। পঁচানালা খালটি নীলফামারীর সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়ন থেকে সৈয়দপুর শহর ঘেঁষে রংপুরের বদরগঞ্জ পর্যন্ত গিয়ে চিকলী নদীতে মিশেছে। ওই পঁচানালা খালটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১০০ ফুট।

দীর্ঘদিন যাবৎ সেটি সংস্কার কিংবা খনন হয়নি। এতদিন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঠিক নজরদারির অভাবে পঁচানালা খালের পাড় দখল করে দিনের পর দিন অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছিল। এমনকি খালের জায়গা দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, সরকারী প্রতিষ্ঠান এবং দোকানপাট ও বাসাবাড়ি তৈরি করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে খাল দখলমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে পাউবো সূত্র জানায়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।