জিকরুল হক, সৈয়দপুর (নীলফামারী) নীলফামারী সংবাদদাতা; জেলার  সৈয়দপুরে এক রেলওয়ে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি বাসা বরাদ্দ ছাড়াই বসবাস করার অভিযোগ মিলেছে। এই কর্মকর্তা রেলওয়ের বাসা বরাদ্দের নীতিমালার ফাঁক ব্যবহার করে বছরের পর বছর সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছেন। অভিযুক্ত এই কর্মকর্তার নাম মো. তহিদুল ইসলাম। তিনি সৈয়দপুর রেলওয়ে বিভাগের পূর্ত দপ্তরের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (আইওডাব্লু) পদে কর্মরত আছেন। অথচ তিনি রেলওয়ের কোয়ার্টার ও বাংলো রক্ষকের দায়িত্বে থেকে নিজেই ভক্ষক হয়ে উঠেছেন। তিনি গত চার বছরে বাসা ভাড়া বাবদ প্রায় ১০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ ক্লাবের পাশে রেলওয়ের ই-৩১ নম্বরের বাংলো আইওডাব্লু পদে কর্মরত কর্মকর্তার জন্য নির্দিষ্ট। রেলওয়ের নিয়মমতে ওই কর্মকর্তার বাসা বরাদ্দ নিয়ে বসবাস করার কথা। এজন্য তার মূল বেতন থেকে প্রতি মাসে শতকরা সাড়ে ৪২ ভাগ টাকা কর্তনে নিয়ম রয়েছে। সে হিসাবে পূর্ত কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম বেতন থেকে প্রতি মাসে ১৪ হাজার ৮৮০ টাকা কর্তন করা হত। কিন্তু তিনি ভাড়া কর্তন না করতে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে নিজ দপ্তরের নৈশপ্রহরী মো. শামীম আখতারের নামে ‘কেয়ারটেকার’ হিসাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ফলে রেলওয়ের বাসা বরাদ্দের ফাঁক ব্যবহার করে ভাড়া কর্তন ছাড়াই ওই বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। তিনি একজন দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসাবে অনিয়মের মাধ্যম দীর্ঘ ৪ বছর যাবত ওই বাসায় অবৈধভাবে বাস করছেন। আর এই কৌশলে প্রতিমাসে বাসা ভাড়ার মোটা অংকের টাকা পকেটস্থ করছেন। তার বিরুদ্ধে গত চার বছরে সরকারের প্রায় ১০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে রেলওয়ের নিয়মমতে ওই বাসা কেয়ারটেকার হিসাবে বরাদ্দ দেয়ার কথা নয়। নিয়ম রয়েছে ওই কর্মকর্তার পদে কোন কর্মকর্তা না থাকলেই কেবল বাসা দেখভালের জন্য কেয়ারটেকার রাখা হয়। অন্যথায় কারো নামে কেয়ারটেকার হিসাবে বরাদ্দের কোন নিয়ম নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, রেলওয়ের পূর্ত দপ্তরের নৈশপ্রহরী মো. শামীম আকতার জানান, কেয়ারটেকার হিসাবে বাসাটি আমার নামে বরাদ্দ আছে। তবে তিনি ওই বাসায় থাকেন না, নিজ বাড়িতে বসবাস করেন। তবে বাসাটিতে বসবাস করেন তার স্যার আইওডাব্লু তহিদুল ইসলাম।

জানতে চাইলে সৈয়দপুর রেলওয়ে বিভাগের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পূর্ত) তহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে নৈশপ্রহরী শামীমের নামে কেয়ারটেকার হিসাবে বরাদ্দকৃত বাসায় বসবাস করার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মো. জয়দুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান বিষয়টি আমার জানা নেই, এটি বাসা বরাদ্দ কমিটি বলতে পারবে।

আমাদের বাণী ডট কম/০৪ মার্চ ২০২০/সইএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।