স্কুলগুলোতে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন পবিত্র কোরআনসহ ছয়টি ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ্যবই হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল অ্যাডভাইজারি বোর্ডে বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, এখন ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর একটি কারণ হল যে শিশুরা অন্যান্য ধর্ম সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণ জানে না, এ কারণে একটি অন্ধ বিদ্বেষ কাজ করে। এ জন্য শৈশবেই ধর্মীয় শিক্ষাদানের প্রস্তাব দেন মেনেকা গান্ধী।

হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ এবং ইসলামের মতো প্রধান ধর্মের ধর্মগ্রন্থগুলো পড়ানো হলে শৈশবেই তা ছাত্রদের মেধাবিকাশ করবে বলে জানান তিনি। মেনেকা বলেন, আমরা স্কুলে পড়ার সময় নৈতিক জ্ঞানের বিষয়টি পড়ানো হতো, কিন্তু এখন আর তা পড়ানো হয় না। আমাদের মধ্যে কতজন নিজেদের ধর্মগ্রন্থ পাঠ করেছেন? আমি কোরআন পড়েছি। আমাদের মধ্যে কতজন জানে যে, নবী মোহাম্মদ যুদ্ধবিরোধী ছিলেন?

ভারতের স্কুলগুলোতে ইসলামসহ অন্যান্য ধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থগুলো পড়ালে সহিংসতা অনেকাংশে কমে যাবে বলে মত দেন তিনি। মেনেকা গান্ধী মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের নিকট আহ্বান জানান যে, স্কুলগুলোতে সপ্তাহে কমপক্ষে দুই দিন ছয়টি ধর্মের পবিত্র গ্রন্থের বিষয়ে যেন ক্লাস নেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।