ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ের ভবনের পলেস্তার খসে মো. রেজাউল হক নামের এক শিক্ষক আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নের ৮২নং পূর্ব বাঁশবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা চরম আতঙ্কে রয়েছে।

আহত শিক্ষক মো. রেজাউল হক জানান, আমি ও অন্যান্য শিক্ষকরা অফিস কক্ষে বসা ছিলাম এমন সময় জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবনের ছাদের পলেস্তার খসে আমার মাথার উপর পড়ে। এতে আমার মাথা ও হাতে জখম হয়। সহকর্মী শিক্ষকরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, স্কুলের ছাদের বিভিন্ন স্থানে পলেস্তার ভেঙে পরে লোহার রড বের হয়ে গেছে এবং প্রায় সময়ই বিভিন্ন স্থান থেকে খসে পড়ছে। আমরা সব সময় ভয়ের মধ্যে থাকি। কখন যেন মাথার উপর ভেঙ্গে পড়ে। তাই ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারি না।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয় ভবনটি অনেক পুরানো এটি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছে। ভবনটি পুননির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট একাধিকবার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়ার সুবিধার্থে জরুরী ভিত্তিতে ভবনটি মেরামত দরকার।

উল্লেখ্য, বিগত ১৯৮২ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এ ভবনটি নির্মাণ করে।

অন্যদিকে, বরিশাল নগরীর ফজলুল হক এভিনিউ এলাকার উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের ছাদের পলেস্তরা খসে চার শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার অষ্টম শ্রেণির ড্রইং ক্লাস চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

আহত শিক্ষার্থীরা হলো, ৮ম শ্রেণির সিয়াম, মোরসলিন, অর্ক ও তুর্য।

আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, নেপচুন শাখায় ড্রইং ক্লাস চলাকালে হঠাৎ ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ে। ওই পলেস্তরার আঘাতে ৪ শিক্ষার্থী আহত হয়। শিক্ষকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের বাসায় চলে যেতে বলেন।

অভিভাবকেরা জানান, স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষের ছাদে বড় বড় ফাটল তৈরি হয়েছে। ভবন নির্মাণের পর যা আর সংস্কার করা হয়নি। এ কারণে মাঝে-মধ্যে পলেস্তরা খসে পড়ে শিক্ষার্থীরা আহত হচ্ছে। বিষয়টি শিক্ষকরা দেখলে এবং জানলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

তবে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ব্রাদার প্রভাত পলেস্তরা খসে পড়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও কোনো শিক্ষার্থী আহত হয়নি বলে দাবি করেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।