জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা;  করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার শ্রমজীবী ও নিন্ম আয়ের কর্মহীন মানুষ ঘরে বন্দী হয়ে পড়েছে। উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১৩০টি গ্রামে ৪৮,২০৯টি পরিবারে ২লক্ষ লোকের বসবাস।

উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামাল হুসাইন জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত দুই দফাই ১২৭১ জনকে এই ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। দুই কিস্তিতে ১০ কেজি করে চাল দুই কেজি আলু, এক লিটার ভোজ্য তেল, দুই কেজি পিয়াজ, এক কেজি লবন ও ২টি করে সাবান দেওয়া হয়েছে। এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের হার শতকরা ১ভাগেরও অনেক কম, তবে এই ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর রহমান জোয়ার্দ্দার জানান আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এপর্যন্ত ১৫০০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং তা চলমান থাকবে। এছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগেও কিছু কিছু ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে যা নিন্ম আয়ের মানুষের চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল।

উপজেলার গুড়পাড়া ভাতুড়িয়া গ্রামের দর্জি শ্রমিক বকুল হোসেন জানান প্রায় ১৫দিন ঘরে বসে আছি কাজ নেই দোকান বন্ধ, কোন ত্রাণও পায়নি ঘরে খাবার নেই এখন কি খেয়ে থাকবো? এরকম অনেক কৃষি শ্রমিক, হোটেল শ্রমিক,

দোকান শ্রমিক আছে যাদের বর্তমানে কোন কাজ নেই, এদের দাবি এই ত্রাণ সহায়তার আওতায় তাদের আনা হোক। উপজেলায় ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম জানান ত্রাণ বিতরণে কোন সমন্বয় কমিটি হয়েছে কিনা আমার জানানেই।

এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হুসাইনের কাছে জানতে চেয়ে ০১৭১১৩৫৩৫৭৯ নম্বরে কল করলে তিনি ফোন ধরেন নি।

আমাদের বাণী ডট কম/০৭ এপ্রিল ২০২০/পিপিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।