নতুন জাতীয়করণসহ সারা দেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৭৪টি। এর মধ্যে ৩৫৮টি বিদ্যালয় অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমের অধীনে এসেছে। এসব বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষের অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন নেয়া গত শনিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩৫৮টি বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে শূন্য আসন রয়েছে ৩ হাজার ৫৮৮টি। আর এসব আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ৫৬ হাজার ৬১০ জন। এ হিসাবে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে ১৬ জন শিশু।

প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করা হবে লটারি ভিত্তিতে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বয়স জানুয়ারিতে ছয় বছরের বেশি হতে হবে। রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর লটারির তারিখ মাউশি নির্ধারণ করে দিয়েছে। আর ঢাকার বাইরের লটারির তারিখ সংশ্লিষ্ট মহানগর, জেলা ও উপজেলা কমিটি নির্ধারণ করতে পারবে।

নতুন শিক্ষাবর্ষে রাজধানীর মোট ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এসব বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রায় ১ হাজার ২৬০ শিক্ষার্থী ভর্তির আসন রয়েছে। এসব আসনের জন্য ২০ হাজার ৩৬৮ শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। গড়ে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রার্থী ১৬ জনের বেশি। এবার প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি লটারিতে করা হবে। এই লটারি হবে ২৪ ডিসেম্বর।

দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণির শূন্য আসনগুলোতেও শিক্ষার্থী ভর্তি করবে বিদ্যালয়গুলো। এক্ষেত্রে ৬৭ হাজার ৬৭৫টি আসনের বিপরীতে অনলাইনে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৫৩ জন। এর মধ্যে রাজধানীর ৪২টি বিদ্যালয়ে ১১ হাজার ৯২০টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৭৭ হাজার ৪৩৫টি।

দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে। তবে প্রথমবারের মতো সৃজনশীল বা রচনামূলক প্রশ্নের পরিবর্তে অল্পকথায় বা এককথায় উত্তর দেয়ার মতো প্রশ্ন থাকছে। এছাড়া থাকবে শূন্যস্থান, টেবিল/চার্ট, সমস্যা সমাধান/ধাঁধা ইত্যাদি। মূলত উত্তরপত্র মূল্যায়নে নম্বর প্রদানে ভিন্নতা পরিহারের লক্ষ্যে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে প্রথম ও নবম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে না। আর নবম শ্রেণিতে জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।