আনোয়ার হোসেন আরিফ,(কুড়িগ্রাম) জেলা সংবাদদাতা;  জেলার ভূরুঙ্গামারীতে ১১০ বছর বয়সেও বয়স্ক ভাতা জোটেনি তফিল উদ্দিনের ভাগ্যে। ১০ নং ইউ,পি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী মোল্লা জানায়, তফিল উদ্দীনের নাম তালিকা করে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে পাঠিয়েছি। কিন্তু উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে খোজ নিয়ে জানাযায় তলিকায় তফিল উদ্দিন নামে কোন নাম নাই।

জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী তার নাম তফিল উদ্দিন, পিতাঃ মৃত উমেদ আলী ,জাতীয় পরিচয় পত্র নং ৪৯১০৬৩৮৪৬৬৭৩৮। জন্ম তারিখঃ ২৯ নভেম্বর ১৯১১ইং। সে মতে বর্তমানে তার বয়স ১১০ বছর। কিন্তু এলাকাবাসী ও স্বজনদের দাবী পরিচয় পত্রে জন্ম সাল ভূল রয়েছে । তার প্রকৃত বয়স ১৩০ বছর। তার পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখ অনুযায়ী তিনি একাধারে তৎকালীন বৃটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নাগরিক।

তার বাড়িতে খোজ নিতে গেলে বৃদ্ধ তফিল উদ্দিনকে ‘কোরআন’ শরীফ পড়তে দেখা যায়। চোখের জ্যোতি কমে যাওয়ায় দিনের আলোতে পড়তে সমস্যা হচ্ছে। বৃদ্ধ তফিল উদ্দিনের কাছে কিছু জানতে চাইলে ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় তিনি আলোর অভাবে পবিত্র কোরান শরীফ পড়ার সমস্যা হচ্ছে বলে জানান। আর কত বয়স হলে সরকারি সুবিধা পাবেন আমার বাবা। বয়স তো কম হয়নি। এখন একা চলা ফেরা করতে পারেন না। অথচ একটা বয়স্ক ভাতা কার্ড বা সরকারি কোনো সুবিধা আজও পাইনি আমরা। চেয়ারম্যান-মেম্বারদে­র কাছে গেলেও কোনো লাভ হয়নি। দেখবো, শুধু এটুকু বলেই দায়িত্ব শেষ করেছেন তারা । এভাবেই ক্ষোভের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন উপজেলার সোনাহাট ইউনিয়নের কানিপাড়া গনাইরকুটি (চৌধুরী বাজার) গ্রামের তফিল উদ্দিনের ছেলে আবুল হাসেম। তিনি আরো বলেন আমরা পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোন।আমাদের সকলের আলাদা সংসার। বাবা আমার সংসারেই আছেন। তিনি এখন বয়সের ভারে নূয়ে পড়েছেন। বার্ধক্য জনিত নানা রোগে আক্রান্ত। আমার তিনটি সন্তান। জায়গা জমি বলতে বাড়ী ভিটে ছাড়া আবাদি কোন জমি নাই। বাজারে একটি দোকান রয়েছে । এই দোকান করে সন্তানদের লেখা পড়ার খরচ চালিয়ে বাবার চিকিৎসার খরচ বহন করা আমার পক্ষে খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সরকারি কোন সহযোগিতা পেলে হয়তো বাবার চিকিৎসা চালানো সহজ হতো।

সোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, শাহজাহান আলী মোল্লা বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। নতুন তালিকায় তার নাম পাঠিয়েছি। আশা করি খুব দ্রুত তিনি ভাতা পাবেন।

জানতে চাইলে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা জামাল হোসেন বলেন, ভূরুঙ্গামারীতে এত প্রবীন একজন ব্যক্তি আছেন আমার সেটা জানা ছিল না। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমাদের বাণী ডট কম/১৩ জুলাই  ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।