১১ বছর পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি কোটি টাকা ব্যয়ে ঝিনাইদহে নির্মিত সরকারি স্যালাইন তৈরি ফ্যাক্টরি। বছরের পর বছর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থেকে অবকাঠামো নষ্ট হচ্ছে। এমনকি ভবন টি পাহারা দেবারমত কেই নাই।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ ওআরএস স্যালাইন ফ্যাক্টরি নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ফ্যাক্টরিটি নির্মাণ করে স্বাস্থ্য প্রকৌশলি অধিদপ্তর। ২০০৫ সালের ২২ অক্টোবর নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০০৮ সালের ২১ আগস্ট। মোট ব্যয় হয় ৯৮ লাখ ৩৪ হাজার ১৮৯ টাকা। নির্মাণের পর এভাবেই পড়ে আছে। যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও লোকবল নিয়োগ করা হয়নি। ১১ বছরেও সৃষ্টি করা হয়নি পদ। আবার কবে এটি চালু হবে তা কেউ বলতে পারে না। প্রায় কোটি টাকা ব্যায় করে এটি নির্মান করা হয়েছে। কিন্তু চালু করার জন্য কার ও কোন মাথা ব্যাথা নেই।

এ স্যালাইন ফ্যাক্টরি নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল, উৎপাদিত স্যালাইন ঝিনাইদহ জেলাসহ আশে পাশের জেলায় সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে সরবরাহ করা। এতে এত্র এলাকার দরিদ্র মানুষ উপকৃত হতো। বর্তমানে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থেকে অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর স্যালাইন ফ্যাক্টরিটি চালুর জন্য পদ সৃষ্টি, লোকবল নিয়োগ ও যন্ত্রপাতি সরবরাহের জন্য ঢাকার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছেন। আগের দায়িত্ব থাকা সিভিল সার্জনরাও ফ্যাক্টরিটি চালু করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি লিখেছেন। কিন্তু এত দিনেও কাজের কাজ কিছু হয়নি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।