মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে অশ্লীল ও অশোভন আচরণ, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও উৎকোচ নেয়ায় অভিযোগ পাওয়া গেছে ঠাকুরগাঁও সদর থানা কর্তৃপক্ষ ও ওসি’র বিরুদ্ধে। উপায় না পেয়ে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী জয়নব বিবি রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর বিকেলে সদর থানা কর্তৃপক্ষ জেলা শহরের টাংগন ব্রিজের কাছে হঠাৎপাড়া গ্রামে মামলার আসামিকে গ্রেফতার করতে যায়।এসময় স্থানীয় মহিলাদের সাথে অশ্লীল ও অশোভন আচরণসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে তাণ্ডবলীলা চালায়। এসময় জয়নব বিবির কন্যা জাহানারা বেগম ভীতসন্ত্রস্ত মহিলাদের আশ্বস্ত করেন। ক্ষিপ্ত হয়ে থানা কর্তৃপক্ষ জাহানারা বেগম ও আসামীর স্ত্রী জাহানারা খাতুনকে অন্যায়ভাবে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ঘ

টনার পর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মোছাঃ জয়নব বিবি থানা চত্বরে অবস্থিত জনগণের দরবারে যান। সেখানে সদর থানার ওসিকে না পেয়ে থানায় প্রবেশ করে ওসির রুমে সামনে পৌছালে ওসি তার সাথে অশ্লীল ও অশোভন আচরণ করে থানা থেকে বের করে দেন। পরে ওইদিন রাতে ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে আটক দুজনকে রাতের আধারে মুক্তি দেয় সদর থানা কর্তৃপক্ষ। জাহানারা বেগম একজন মুক্তিযোদ্ধার কন্যা থানা কর্তৃপক্ষের দ্বারা লাঞ্ছিত, অপমান হেয় প্রতিপন্ন হওয়ায় অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, উৎকোচ গ্রহণের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে গত ১৭ নভেম্বর ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি, পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী মোছাঃ জয়নব বিবি।

এ বিষয়ে সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, আমার থানার সদস্যরা আসামি ধরতে গিয়েছিল। এসময় আসামিকে পালাতে সহযোগিতা করায় তাদেরকে আটক করা হয়। পরে আসা্মিকে ধরা পরলে রাতে মুচলেকা নিয়ে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়। এখানে কারো সাথে খারাপ আচরণ করা হয়নি। আর টাকার বিষয়টি আমার অজানা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।