চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩০ থেকে ৩৫ বছর করাসহ ৪ দাবিতে এবার কাফন পড়ে  গণঅনশনে বসেছে আন্দোলনকারীরা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজেদের দাবি-দাওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরতে তাঁর সাক্ষাৎ চেয়েছেন ‘৩৫ চাই’ আন্দোলনরে প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ।  ১৩ ডিসেম্বরে মধ্যে দাবি মেনে নেয়া না হলে আমরণ অনশনে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

 এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মুজাম্মেল মিয়াজী।

এ বিষয়ে মোজাম্মেল মিয়াজী বলেন, সকাল ৯টা থেকে আমরা গণঅনশণ শুরু করেছি। এখন আমরা এটার সাথে আরেকটু যোগ করে কাফন গণঅনশনে নেমেছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে। আমরা হয় ‘৩৫ বছর’ চাকরির বয়স নিয়ে ফিরে যােব নইলে আমাদের লাশ যাবে।

কর্মসূচীর বিষয় জানিয়ে মিয়াজী আরো বলেন, এ দাবিতে সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বল করা হবে। ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ৩৫সহ ৪ দফা দাবি মেনে নেয়া না হলে ১৩ ডিসেম্বর সকাল থেকে আমরণ অনশনে যাব আমরা।

এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ গণঅনশন শুরু করে। ৪১তম বিসিএসে ৩৫ অন্তর্ভুক্ত করে পুনরায় সার্কুলারের দাবিতে এবং প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাওয়া পর্যন্ত এই কাফন গণঅনশন চলবে।

তাদের ৪ দফা দাবি হলো- চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৩৫ বছরে উন্নীত করা; চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা; চাকরির নিয়োগ পরীক্ষাগুলো জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে নেওয়া ও চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা এবং সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।

বর্তমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মোজাম্মেল মিয়াজী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এই সরকার ইশতিহারে রেখেছিল তাঁরা ক্ষমতায় আসলে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করবে এবং সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন ৩৫ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হয়েছে। তোমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো, কোন প্রকার সিদ্ধান্ত না জানিয়ে ৪১তম বিসিএস সার্কুলার দেওয়াতে আজ লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়েছে ।

তিনি বলেন, ইশতেহার অনুসারে আগামী ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ৩৫সহ ৪ দফা যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। আশাকরি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা আমাদেরকে সন্তান স্বরূপ বিবেচনা করে আমাদের যৌক্তিক ৩৫সহ ৪ দফা দাবি মেনে নিবেন।

কাফন গণঅনশনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক সুরাইয়া ইয়াসমিম। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সমন্বয়ক রেশমা আক্তার, উজ্জল সরকার, সজীব আহমেদ, মোসাদ্দেক আলী রাসেল, দোলন বসাক, উজ্জল কুমার, নাজিম উদ্দিন, আবুল কায়ুম এবং সাদ্দাম।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।