জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা;  জেলার মহেশপুর উপজেলার ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রেখে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বনভোজনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের একদিনের পাঠদান বন্ধ থাকলেও জেলা প্রশাসন বা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা বিষয়টি অজানা  থেকে গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি ২০২০) বিদ্যালয়ের ৮০০ শিক্ষকের কাছ থেকে ৪০০ টাকা হারে প্রায় ৩ লাখ টাকা উত্তোলন করার পর ১৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ ও শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলে উপজেলার তালতলা দরগা নামক স্থানে পিকনিক বা তাদের ভাষায় মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি শিক্ষা) রবিউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনিও বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।

উপজেলার বজরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জেল হোসেন মাস্টার বলেন, যেহেতু এটি সিলেবাসে নেই সে কারণে তিনি স্কুল বন্ধ করে মিলনমেলায় যোগদান করেননি।

এ বিষয়য়ে আয়োজক কমিটির শিক্ষক নেতা মাহবুবু আজম ইকবাল ঝড়ু জানিয়েছেন, তারা একদিনের ঐচ্ছিক ছুটি নিয়ে সকলে মিলে পিকনিকের আয়োজন করেছেন। এতে উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হাসান জানান, তিনি একদিনের ঐচ্ছিক ছুটি ঘোষণা করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে এই ছুটি দেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক ছুটি দেওয়া হয়েছে।

একযোগে ১৫২টি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে বনভোজন করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই জানিয়েছেন, এই গেট টুগেদার বন্ধের দিন করলে ভালো হতো। অভিভাবকরা পাঠদান বন্ধ করে বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই এই কাজটি করা সরকারি বিধির লঙ্ঘন বলে মনে করছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।