বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ঘোষিত মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ রিটকারীদের কেনো নিয়োগ না দিয়েই নতুন করে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি কেনে বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হােইকোর্ট।

আর এর জবাব দিতে বলা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব, এনটিআরসি’র চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের।

আজ রবিবার (২৮ জুলাই) এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে ২২ জন রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শারফ উদ্দীন আবেদ। রিট আবেদনে বলা হয়, এনটিআরসিএ ঘোষিত জাতীয় মেধা তালিকায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ না দিয়ে নতুন করে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সার্কুলার জারি করা হয়। ওই সার্কুলারে শূন্যপদের সংখ্যা নির্ধারণ না করায় তা ২০০৬ সালের বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালার লঙ্ঘন।

এ কারণে গত ২৩ মে জারি করা এনটিআরসিএ’র ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের সার্কুলার কর্তৃত্ববহির্ভূত ও আইনগতভাবে অকার্যকর ঘোষণা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নাটোরের মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ২২ জন। এ রিটের শুনানিতে আদালত রুল জারি করেন।

রিটকারী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রত্যেকের শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেটে স্পষ্টভাবে লেখা আছে- উত্তীর্ণ প্রার্থী সহকারী শিক্ষক বা প্রভাষক পদে দেশের যেকোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগযোগ্য।

এছাড়া প্রতিবছর শিক্ষকদের শূন্যপদের সংখ্যা প্রকাশ করে সেই শূন্য পদ অনুযায়ী শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নেওয়া এবং নিয়োগ প্রদান করার কথা বলা আছে এনটিআরসিএ’র আইনে। কিন্তু শিক্ষকদের শূন্য পদ না থাকা সত্ত্বেও পুনরায় ১৬তম নিবন্ধন পরীক্ষার সার্কুলার জারি করা পুরোপুরি অবৈধ। তাই এ সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আমরা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।