নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা;  করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারের দেয়া স্কুল ফিডিংয়ের বিস্কুট না পাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রাথমিকের শিশুরা। তাই এ বিস্কুট শিশুদের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল ২০২০)  এ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, পুরো বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন দারিদ্র‌্যপীড়িত এলাকায় স্কুলফিডিং শীর্ষক প্রকল্পের ১০৪টি উপজেলায় বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে। এতে প্রকল্প এলাকার শিশুরা বিদ্যালয়ে আসতে না পারায় কাঙ্ক্ষিত পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এ অবস্থায় খুলনা ও রাজবাড়ী জেলায় ৩০ এপ্রিলের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ হবে এরূপ মজুদ বিস্কুট বিভিন্ন বিদ্যালয় ও এনজিও সংরক্ষণাগার থেকে সংগ্রহ করে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতায় বাস্তবায়ন সহযোগী সংস্থার (এনজিও) মাধ্যমে সন্নিহিত অঞ্চলের (ক্যাচমেন্ট অ‌্যারিয়া) প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনাপোযোগী শিশুদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।

পর্যায়ক্রমে প্রকল্পভুক্ত সব উপজেলায় একই পদ্ধতিতে বিস্কুট বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়ার জন‌্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সঙ্গে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনার আলোকে একটি বিতরণ নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে; যা এরইমধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন হয়েছে।

নির্দেশিকা অনুসরণ করে প্রকল্পভুক্ত সব উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের প্রত্যক্ষ সমন্বয়ে (করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের গাইডলাইন প্রতিপালন সাপেক্ষে) জরুরি ভিত্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনাপোযোগী প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয় মজুদ সাপেক্ষে এককালীন মাথাপিছু ২৫ থেকে ৫০ প্যাকেট বিস্কুট বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

আমাদের বাণী ডট কম/০১ মে  ২০২০/পিপিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।