ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসের ভিতরের হোটেলগুুলোতে পঁচা বাঁসি খাবার পুনরায় ভেজে পরিবেশন করা হচ্ছে। শনিবার বিকেলে এই অভিযোগে একটি হোটেল সিলগালা করেছে প্রক্টরিয়াল বডি। বাকি দোকানগুলোকে সতর্ক করেছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, শনিবার বিকেলে ক্যাম্পাসের জিয়া মোড়ের আফজালের হোটেলে খেতে যায় ব্যাবস্থাপনা বিভাগের এক শিক্ষার্থী। এসময় সে হোটেলে পঁচা বাঁসি খাবার ফ্রিজ থেকে বের করে পুররায় বিক্রির জন্য প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে দেখে। এবিষয়ে সে হোটেল মালিকের ছেলে রিপনকে জিজ্ঞাসা খাবারগুলো পুনরায় ভাঁজা হবে বলে স্বীকার করে। ঐ শিক্ষার্থী বিষয়টিতে আপত্তি করলে রিপন তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এসময় পাশে থাকা শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জানতে পেরে সম্পূর্ণ দৃশ্য স্মার্টফোটে ভিডিও করে এবং ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টও ড. আনিছুর রহমানকে অবহিত করে। খবর পেয়ে তারা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আসেন। ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করে হোটেলে পঁচা-বাসি খাবার পরিবেশনের দায়ে ওই হোটেলকে সিলগালা করা হয়।

পরে তিনি বাকি হোটেলগুলো পরিদর্শন করে খালার হোটেল, রাকিবের হোটেলর পরিবেশ এক দিনের মধ্যে ঠিক করার জন্য সতর্কবাণী দেওয়া হয়। এছাড়াও শিক্ষর্থীদের পক্ষ থেকে গরীব চেীধুরীর হোটেলে বেশি দামে খাবার বিক্রির অভিযোগ আসলে তাকে দামের তালিকা সংযুক্ত করতে বলা হয়।

হোটেলগুলোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ বলেন, ‘আবাসিক হলগুলোতে খাবারের মান নি¤œ হওয়ায় আমরা হোটেলগুলোতে খেতে আসি। কিন্তু এরা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরি ও বেশি দামে খাবার বিক্রি করে। যার ফলে শিক্ষার্থরা বিভিন্ন ধরণের অসুখে ভুগছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কনজুমার ইয়ুথ, ইবি শাখার সভাপতি শামিমুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘আমারা এর আগে হোটেগুলোর খাবারের মান ও দাম নিয়ে মালিকপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু হোটেল মালিকেরা স্থানীয় হওয়ায় কোন কথার তোয়াক্কা করে না।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আনিছুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আফজালের হোটেলের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হওয়ায় সেটি সিলগালা করার নির্দেশ দিয়েছি। আর বাকি হোটেলগুলোকেও কঠোরভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।