কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহের আলোচিত ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ হত্যা মামলায় আসামী উজ্জল ইসলাম ওরফে উজ্জল শেখ নামে এক কলেজ ছাত্রকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে জেলা আদালত।

মঙ্গলবার বেলা ১২টায় কুষ্টিয়ার জেলা দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষনা করেন।

কুষ্টিয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, নিহতের বোন আসমা খাতুনের সহপাঠী বন্ধু দন্ডপ্রাপ্ত উজ্জল ইসলাম’র মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। আসমার ভাই আব্দুল্লাহ এ সম্পর্ক মেনে না নিয়ে উজ্জলকে তাদের বাড়ীতে আসতে নিষেধ করে। ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী ভালবাসা দিবসের দিনের সন্ধ্যায় উজ্জল আসমার বাড়ীতে আসলে আব্দুল্লাহর সাথে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উজ্জল সাথে আনা ধারালো চাকু বের করে আব্দুল্লাহকে উপর্যুপরি আঘাত করে। এসময় আব্দুল্লার মা সাফিয়া খাতুন এবং ভাতিজা শাজাহান এগিয়ে আসলে তাদেরকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় উজ্জল। পরে মা ছেলে এবং ভাতিজাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক আব্দুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন আব্দুল্লাহর বাবা আলম শেখ বাদী হয়ে উজ্জলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় দীর্ঘ শুনানী শেষে আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন। আদেশের পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আসামী উজ্জল কুষ্টিয়া সরকারী কলেজে ডিগ্রীতে লেখাপড়া করতো। সে ইবি থানার হাতিয়া গ্রামের খবির উদ্দিন শেখ’র ছেলে।

বিজ্ঞাপন  হারুন ক্লিনিক

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।