অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যূথী; কিছু নামে বেনামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ধারীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে এবং তারা এখন এসব নিয়ে বেশ তৎপর … আজকের লিখাটা তাকে /তাদেরকে উদ্দেশ্যে করেই ..দুঃখের বিষয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতি র সময়কালে ও আমরা সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক উপায়ে কিছু প্রতিষ্ঠানকে যেমন বিচারালয় বা বিচারপতিদের বিষয়ে কোন ঢেকুর পর্যন্ত তুলতে পারি না …আমরা আইনজীবীরা কিছুটা এর পক্ষেই আসলে আমরা চাই আমাদের অঙ্গন হোক পরিচ্ছন্ন এবং সবকিছুর ঊর্ধ্বে।

ত্রিশ বছরের ঊর্ধ্বে আমাদের আইনাদালতের সাথে দৈনন্দিন চলাচল ,সাংসারিক কাজে কিছু সমস্যা বাদে কখনও কোর্ট এর বাইরে চিন্তা করতে পারি নাই ্‌এতসব নিজের স্তুতি করলাম এই কারণে যে ইদানীং দেখা যাচ্ছে এক দুই জন আমাদের বিচারালয়ের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার পরিবর্তে অপব্যবহার করে চলেছে তাই তাদের মত ব্যক্তি বর্গের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলেই তারা বিচারপতি মহোদয়দের নামে আমরা বলছি বলে আমাদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে, আমি একটু বিস্তারিত বলতে চাই আমরা আইন আদালতের মান সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে সদা তৎপর কিভাবে ? বলি GKশামিম নামক আওয়ামী যুবলীগ এর কথিত ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির সাথে যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দালাল এসেছিল আমার কাছে কারণ তারা জানে আমি মামলা নিলে তাদের জন্য বেশ সুবিধা হয় , সবার শেষে আমি একজন আইনজীবী ,আমি কিন্তু মামলা নিতেই পারতাম এবং আমাকে ১ কোটি টাকার অফার দেয়া হয়েছিল আমি তাদেরকে আমার চেম্বার থেকে বের করে দিয়েছিলাম কিন্তু অতীব দুঃখের সাথে জানাচ্ছি সেই মামলা বেইল হয়েছিল যে কোর্ট এ DAG ছিল আমাদেরই কোন এক মাননীয় বিচারপতির সহধর্মিণী , এ নিয়ে তাকে রাষ্ট্রের Attorney General সাহেব তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট ও করেছে তা এখন পর্যন্ত তদন্তানাধীন ,এর আগে ইয়াবা কিং খ্যাতও আমিন হুদার মামলার সাথে ভদ্র মহিলার যোগসাজশ পাওয়া গিয়েছিল এবং লিখা লিখিও হয়েছিল …আমাদের Attorey General অফিস এই বিষয়ে অবগত আছে ।

ভদ্রমহিলা বিচারপতির wife বলে নানা রকম অসৎ কর্ম করে আসছে ,আমরা জানি নিজেরা যখন কোন দায়িত্বশীল পজিশন এ যাই আমাদের নিজেদের কিন্তু দায়িত্ববোধের সাথে কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে যাই কিন্তু এই ব্যাপারে মহিলা নিজেকে বিচারপতির বউ নামে ক্ষমতাধর মেনে নানা রকম বাজে কাজ করে যাচ্ছে যা আমাদের বিচার অঙ্গনকে প্রশ্নের সম্মুখীন করছে ভদ্রমহিলা কিছুদিন আগে করনা কালীন ত্রাণ দেবার নামে বিভিন্ন আইনজীবী , রাজনৈতিক কর্তা ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা তুলেছে যা ছবি সাথে আমাদের আপিল বিভাগের অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি মহোদয় সহ সবার কাছে show করছে এই ভদ্রমহিলা এখন DAG তার বোন AAG আর hasband বিচারপতি তাইলে আমরা কি তার অন্যায় কাজের এর কোন প্রতিবাদ করতে পারব না ,ভদ্রমহিলা চুরি করলে বা দুর্নীতি করলে আমরা আইনজীবীরা বলব এটাই কি স্বাভাবিক না ? কিছু বললে সে আদালত অবমাননার ভয় দেখায় ।।তাই বিচারপতি মহোদয়দের উচিত তাঁদের ফ্যামিলি মেম্বার দের কোর্ট এ না আনা …এতে বিচারবিভাগের মান অক্ষুণ্ণ থাকবে আমাদের ও বিব্রত হতে হবে না , আমরা চাইনা ,কারণ বিচারপতি মহোদয় রা দেশের কাছে একটা অনুকরণীয় হয়ে থাকে সেখানে তাঁদেরকে এভাবে showing off করা কি আমাদের বিচারবিভাগের মান সমুন্নত রাখার প্রয়াস ?

আমরা বাড়িতে যে যার ই আত্মীয়- স্বজন হতেই পারি কিন্তু আমরা একটা সম্মানীয় স্পর্শকাতর অঙ্গনকে এভাবে ব্যবহার করতে পারি কিনা তা আমাদের জিজ্ঞাসা ? আমাদের আর ও জিজ্ঞাসা বিচারপতি মহোদয়দের ব্যাপারে বা কোর্ট এর ব্যাপারে সংযত কথা বার্তা বলা উচিত এবং বাইরে বেশি কিছু বললে তা হবে কোর্ট অবমাননা …কিন্তু প্রশ্ন বিচারপতি মহোদয়ের স্ত্রী কি আদালত অবমাননার অংশ ?

অসমাপ্ত চলবে ( আদালত অবমাননা কি এবং কেন এবং কখন আদালত অবমাননা হয় এবং কারা এর অন্তর্ভুক্ত পরের চ্যাপ্টারে লিখার চেষ্টা করব …….

লেখিকা;  সাবেক ট্রেজারার, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, বার এসোসিয়েশন ও সভাপতি, রুলা।

আমাদের বাণী ডট কম/২৬ জুন ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।